• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

২০২৬-এ বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, মন্তব্য সুকান্তর, তুমুল কটাক্ষ কুণালের

রাজ্যের ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কার্যত সবুজ ঝড় বয়ে গিয়েছে। গত উপনির্বাচনের মত এবারও শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে বিজেপিকে।

রাজ্যের ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কার্যত সবুজ ঝড় বয়ে গিয়েছে। গত উপনির্বাচনের মত এবারও শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে বিজেপিকে। যদিও এই হারকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ দলের রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, উপনির্বাচনে এরকম হয়েই থাকে।

বিজেপির এই ফলাফলের পরেও বাংলার পরিবর্তন নিয়ে বড় দাবি শোনালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্তর দাবি, উপনির্বাচনে এমনই ফল হয়। কারণ, বহু এলাকায় ভোটই দিতে হয়নি। তবে ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।

সুকান্ত বলেন, কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচন যদি দেখেন, ২০১৯-এ লোকসভা জেতার পর, উপনির্বাচনে ওখানে হেরে গিয়েছিলাম। অথচ সেই কালিয়াগঞ্জে ২০২১ এর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছি। ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে জিতেছি, ২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচনেও জিতব। উপনির্বাচন আর সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে ফারাক রয়েছে।

সুকান্ত মজুমদারের এহেন মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কুণাল ঘোষ। প্রাক্তন তৃণমূল মুখপাত্রের কথায়, উনি অলীক স্বপ্ন দেখছেন, স্বপ্ন দেখতে বাধা দেব কেন! বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং আগামীদিনেও থাকবেন। কুণালের অভিযোগ, উপনির্বাচনে পরাজয়ের ব্যর্থতা ঢাকতে এসব কথা বলতে হচ্ছে বিজেপি নেতাদের।

বিজেপিকে দুষেছেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষও। দিলীপ বলেন, একুশের পর থেকে পার্টির ডাউনফল শুরু হয়েছে। রেজাল্ট  খুব একটা ভালো হচ্ছে না। এই যে এত ঘটনা ঘটছে, হয়তো আমাদের পার্টি সেই, ইস্যুগুলোকে নিতে পারছে না।