বাড়ির অদূরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে কুপিয়ে ‘হত্যা’

বাড়ির অদূরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে কুপিয়ে ‘খুন’। আর এই ঘটনা ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে। মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে দুষ্কৃতীরা। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নুরুদ্দিন হালদার। গাজীপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন তিনি। কুলপির দৌলতপুরের বাসিন্দা নুরুদ্দিন রবিবার রাত ৮টা নাগাদ নামাজ পড়তে মসজিদে আসছিলেন। বাড়ি থেকে তিন চার মিনিট দূরে রাস্তার উপরেই দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে এবং ধারাল অস্ত্র দিয়ে সারা শরীরে কোপায়।

রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এলোপাথাড়ি কোপে জখম হয়েছেন আরও ১। নেতা খুনের পর এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় এলাকা থমথমে রয়েছে।


কী কারণে নুরুদ্দিনকে কোপানো হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার জানান, গ্রাম্য কোনও বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন দলের ওই নেতা। সেই কারণেই এই খুন কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা থেকে বেশ কিছু বোমা উদ্ধার করে। ঘটনার প্রতিবাদে কুলপি থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ও তাঁর অনুগামীরা। যদিও পরে পুলিশ আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। নিহত পঞ্চায়েত সদস্যের বউমা বলেন, আমার শ্বশুরমশাই নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। মসজিদে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাঁর এমন অবস্থা হয়েছে। কে বা কারা এমন কাজ করেছে আমরা জানি না। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসি দিক পুলিশ।