তৃণমূলের তরফে বিধায়কদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বাজেট অধিবেশনের শেষ দু’দিন বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে হবে। বিধায়কদের হাজিরা নিশ্চিত করতে ‘তিন লাইনের হুইপ’ জারি করেছিল তৃণমূলের পরিষদীয় দল। কিন্তু দলীয় নির্দেশ অমান্য করেই অধিবেশনের শেষ দিন অনুপস্থিত থাকেন প্রায় ৫০ জন বিধায়ক। বিষয়টি ভালো ভাবে নেয়নি তৃণমূলের পরিষদীয় দল। বিধায়কদের এহেন আচরণে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয় দলের হাইকমান্ড। বিধায়কদের অনুপস্থিতির বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে আজ বিধানসভায় বৈঠকে বসছে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি।
বিধানসভার সূত্রে খবর, আজ বৈঠক করবেন দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং বিধানসভায় তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। সেই বৈঠকেই অনুপস্থিত থাকা তৃণমূল বিধায়কদের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে। প্রসঙ্গত, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক নিজের অনুপস্থিতির সন্তোষজনক কারণ না দেখিয়ে এই হুইপ অমান্য করলে সেই সাংসদ বা বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের সম্ভাবনাও থাকে। তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘দপ্তর থেকে অনুপস্থিত বিধায়কদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই নিয়ে বৈঠকে বসবে বিধানসভার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। এরপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের জানিয়ে দেওয়া হবে।’
তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে বিধায়কদের জানানো হয়েছিল, বাজেট অধিবেশনের শেষ দু’দিন, অর্থাৎ ১৯ এবং ২০ মার্চ সকলকে অধিবেশনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে। অর্থ সংক্রান্ত বিল পাস ও বিরোধীদের কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, সংসদ বা বিধানসভায় হুইপ জারির চল রয়েছে। এই হুইপের মাধ্যমে নিজেদের দলের বিধায়কদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। ‘তিন লাইনের হুইপ’-এ অনুপস্থিত থাকতে নিষেধ করা হয়। ১৯ মার্চ ২১২ জনের বেশি তৃণমূল বিধায়ক বিধানসভার অধিবেশনে অংশ নিতে এসেছিলেন। কিন্তু বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে তাল কাটে। দলীয় হুইপ অমান্য করে অনুপস্থিত থাকেন পঞ্চাশের বেশি বিধায়ক। বিধায়কদের অনুপস্থিতির জেরে ক্ষুব্ধ হয় তৃণমূল পরিষদীয় দল। আর তাই কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি।