সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী অপহরণ চক্রের চাঁই এবং বারাসাত পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর মিলন সর্দার। বৃহস্পতিবার রাতে বারাসাত থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ ছাড়াও তোলাবাজি, প্রতারণার মতো অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ত্রিপুরানিবাসী এবং বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগণার ব্যবসায়ী দেবব্রত দে-র থেকে টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যেই তাঁকে অপহরণের ছক কষা হয়। সেই লক্ষ্যে দেবব্রতকে সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে অপহরণ করা হয়। খড়দহ অঞ্চলের একটি আবাসনে এক পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন দেবব্রত। এমন সময়ে ওই আবাসনের পার্কিং লটের সামনে থেকে অপহৃত হন তিনি। কিছু দুষ্কৃতি তাঁকে অস্ত্র দেখিয়ে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয় বারাসাতের একটি ফ্ল্যাটে। দু’দফায় তাঁর থেকে মোট ৯ কোটি টাকা মুক্তিপণ আদায় করা হয়। প্রথম দফায় নেওয়া হয় ৬ কোটি টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৩ কোটি টাকা। তদন্তে দলের পাণ্ডা হিসেবে উঠে আসে মিলনের নাম।
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলে পুলিশ তদন্তে নামে। পরে তদন্তের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। সিআইডি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ৭ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছিল। মিলন যদিও এই ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজের এলাকায় ঢুকতেই খবর পৌঁছায় গোয়েন্দাদের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে রেইড চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নেওয়া হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের সূত্রে যদিও দাবি, তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বারাসাত লোকসভার সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ওই কাউন্সিলর আর তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য নন।