পূর্ব বর্ধমানে আবাস যোজনায় সব রকমের বির্তক এড়াতে এবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতারাই সকলকে সর্তক করলেন। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও যে সমস্ত নেতা নেত্রীদের নাম অযোগ্যদের তালিকায় উঠে এসেছে তাদেরকে অবিলম্বে নাম তুলে নেবার জন্য বার্তা দিলেন উচ্চ নেতৃত্ব।
দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অন্য নেতারাও একই বার্তা দিলেন। আবাস যোজনার টাকা উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর আগে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে সমীক্ষার কাজ চলছে। আর সেই সমীক্ষার কাজ চলতে চলতে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। দেখা গেছে পাকা বাড়ি আছে তাদেরও নাম রয়েছে। সেই বাতিলের তালিকায় শাসক দলের নেতা নেত্রীদের নামও রয়েছে। অন্যদিকে শুক্রবারই কাটোয়াতে এলাকায় থাকেন না এমন এক মহিলা সুদেষ্ণা রায় এর নাম আবাস যোজনার তালিকায় পাঁচ বার উঠে আসায় রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে জগদানন্দপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে পাঁচ জনের ‘ভুতুড়ে’ নাম থাকায় পাঁচ জন উপভোক্তা বঞ্চিত হলেন বলে বিরোধীদের কটাক্ষ।
আবাস যোজনার তালিকা তৈরির কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। কিন্তু এ পর্যন্ত প্রায় তালিকা প্রকাশ হতে দেখা গিয়েছে সমীক্ষক দলের কাছে এমন কয়েক হাজার আবেদনকারীর নাম আছে যারা অযোগ্য বলে চিহ্নিত। বলা হয়েছে প্রায় ২৮ হাজার ব্যাক্তির পাকা বাড়ি আছে। ফলে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আর ঠিক সে সময়েই স্বচ্ছতা নিয়ে সমালোচনার ঝড় রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু অতি কৌশলে আসরে নেমেছেন জেলার শীর্ষ নেতারা।
জেলা সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ” অযোগ্য ” দের তালিকা থেকে দলীয় নেতা কর্মীদের নাম তুলে নিতে বললেন। বলেন, ২০১৮ সালের পর যে কোন কারনেই হোক যাদের বাড়ি হয়ে গেছে অথচ তালিকায় নাম রয়েছে তাদের কাছে আবেদন নাম তুলে নিন। জেলা সভাপতি আবেদন করেন সমীক্ষক দলের কাছে গিয়ে বাড়ি নেব বলে জানিয়ে দিতে। একই সুরে কথা বলেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ খন্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপার্থিব ইসলাম। বলেন, ২০২২ সালে একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য বির্তক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এবার সকলকেই সর্তক করে দেওয়া হয়েছে।