রবিবার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য ঘােষণা করলেন চার প্রার্থীর নাম। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে দলের কোনও মুখপাত্র ঘােষণা করলেন না প্রার্থীদের নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুরে নিজেই টুইট করে চারজন প্রার্থীর নাম জানান। যে চার সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাদের কাউকেই আর এবার টিকিট দেওয়া হল না। সব আসনেই নতুন প্রার্থী। তারা হলেন, অর্পিতা ঘােষ, মৌসম বেনজির নুর, সুব্রত বক্সি এবং দীনেশ ত্রিদেবী। যাঁদের নাম এদিন তৃণমূল সুপ্রিমাে ঘােষণা করলেন তাঁরা প্রত্যেকেই আগে লােকসভায় ছিলেন। একজন ছিলেন রাজ্যসভাতেও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় ট্যুইটে লিখেছেন, আনন্দের সঙ্গে ঘােষণা করছি যে অর্পিতা ঘােষ, মৌসম বেনজির নুর, দীনেশ ত্রিবেদী ও সুব্রত বক্সি’কে তৃণমূল মনােনীত করতে চলেছেত রাজ্যসভায়। যে চারজনের নাম ঘােষণা করা হল তার মধ্যে দুই প্রার্থী মহিলা। এবিষয়ে বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
টুইটটিতে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হ্যাশট্যাগ যােগ করার পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, আমি গর্বিত যে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমাদের প্রার্থীদের অর্ধেকই মহিলা। অর্পিতা ঘােষ যাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী ঘােষণা করেছে তৃণমূল সেই অপিতা ঘােষ ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। গত লােকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা হেরে যান বিজেপির সুকান্ত মজুমদারের কাছে। এরপর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের দায়িত্ব তাঁর উপরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যসভার পাঠানোরর কথা ঘােষণা করে অর্পিতার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করে ফেললেন মমতা, বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
পাশাপাশি উত্তর মালদহে কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর তৃণমূলে যােগ দিয়েছিলেন নির্বাচনের আগে। এরপর তৃণমূলের হয়ে টিকিট পেলেও বিজেপির খগেন মুর্মর কাছে হেরে যান তিনি। একইভাবে করা মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী করা হয় মৌসমকে। এবার রাজ্যসভায় টিকিট দিয়ে ফের সংসদে পাঠানাের ব্যবস্থাও করুল তৃণমূল। দলের রাজ্য সভাপতি তথা সর্বভারতীয় সম্পাদক সুব্রত বক্সী এবার রাজ্যসভার প্রার্থী হলেন। দক্ষিণ কলকাতা থেকে পরপর দুবার জয়ী হয়ে লােকসভায় গিয়েছে যদিও গত লােকসভা নির্বাচনে তিনি আর নির্বাচনে দাঁড়াননি।
দক্ষিণ কলকাতা লােকসভা আসন থেকে এবার জয়ী হয়েছেন মালা রায়। দীনেশ ত্রিবেদী এর আগেও তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। পাশাপাশি ২০০৯ ও ২০১৪ সালে বারাকপুর লােকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন দীনেশ। রেলমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্বভার সামলেছিলেন।
২০১৯ সালে লােকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হলেও বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের কাছে হেরে যান তিনি। প্রসঙ্গত, যে পাঁচজন রাজ্য সভার সাংসদদের মেয়াদ শেষ হওয়ার জন্য নির্বাচন তার মধ্যে মনীষ গুপ্ত, কেডি সিংহ, আহমেদ হাসান ইমরান ও যােগেন চৌধুরী তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন বাকি একজন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএম থেকে মনােনিত হলেও পরে নির্দল সাংসদ হিসেবে কাজ করে।