তৃণমূল চোর আর ডাকাতের দল : দিলীপ ঘোষ।

 নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের দিলীপের নিশানায় রাজ্যের শাসক দল। আজ ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ই ডি, সিবিআইয়ের ‘ নিরপেক্ষতা ‘ নিয়ে প্রশ্ন তুলে আ জ তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির রাজ্য দফতর ঘেরাও করার কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ শানিযে দিলীপ ঘোষ বলেন,”ওইটুকুই করতে পারবে ওরা । আগে যখন সুদীপ দাকে নিয়ে গেছিল সেইসময় পরেশ পাল আমাদের বাড়িতে ঢিল মেরেছিল। ওদের দৌড় এইটুকুই, এর বেশি কিছু করতে পারবে না। যারা আসছে ছেলেপুলেরা তাদেরকে বলছি চোর ডাকাতের পিছনে যাবেন না। নিজের ভবিষ্যৎ এবং বাংলার ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না। কালকে লোকেরা আপনাকেও জুতো নিয়ে তারা করবে সেজন্যই ওরকম করবেন না যারা চুরি করেছে তাদেরকে আইনের সামনে নিয়ে আসুন এবং বলুন আপনারা সত্যিটা ও দুর্নীতির সঙ্গে নেই। তৃণমূল এখন চোর- ডাকাতের দল।” গতকাল নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী ‘হর-ঘর তিরাঙ্গা’ মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এদিন এপ্রসঙ্গে ;দিলীপ ঘোষ বলেন,
” আমি জানি না কেন বাধা দিচ্ছে।এরা খালি দুর্নীতি গোস্ত নয় দেশ বিরোধীও বটে। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে তিরঙ্গা যাত্রা হচ্ছে , বাংলাতেও হবে। ওরা যদি মনে করে। তাহলে ভুল ভাবছে কাশ্মীর যদি ঠান্ডা হয়ে থাকে বাংলাকেও ঠান্ডা করতে খুব বেশিদিন লাগবে না। পার্টিটাই উঠে যাবে সরকার পড়ে যাবে। কাদের বলে এসব করছে।”
অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর বীরভূমের তৃণমূল নেতারা বিরোধীদের মাজা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “কে কার মাজা ভাঙ্গে দেখা যাবে। পার্টিরই মাজা ভেঙে যাচ্ছে, মানুষের করবে কি। মানুষকে অত্যাচার করেছিল বলে, মানুষ আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরু চোর গরু চোর বলছে।” অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর ইতিমধ্যেই দলের একাধিক সংগঠনকে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ -সভাপতির বক্তব্য,” না না ওরা ভেবেছিল পার্থদা দিয়ে শেষ হয়ে যাবে। হলো না। আর প্রতি সপ্তাহে যদি একটা করে তোলে হয়ে যাবে। পার্টিটাই উঠে যাবে কামাই হবে কি করে সিন্ডিকেট চলবে কিভাবে সেজন্য একটুখানি প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছে কিন্তু বাংলার মানুষ অন্য মুডে আছে ওরা যদি রাস্তায় বের হয় পাবলিকও রাস্তায় বেরোবে।
শ্রীলংকার মতো অবস্থা হয়ে যাবে তাড়া করে করে মারবে টিএমসি নেতা ও মন্ত্রীদের।” পার্থ-
অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর কার্যত দল তাঁদের পাশে না থাকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন
“দেখুন আমাদের রামায়ণে আছে রত্না কর যখন দস্যু ছিল মানুষকে হত্যা করে পরিবার চালাতো তখন ব্রহ্মা বিষ্ণু রা এসে বলেছিল তুমি পাপ করেছ তোমার পাপের ভাগী কে হবে তুমি কি তোমার পাপের ভাগী হবে। পরিবার কি পাপের ভাগি হবে। পরিবার বলেছিলো আমাদের পোষার দায়িত্ব তোমার। তার পরিবারই তার পাপের ভাগ নেয়নি। আর এ তো কোথাকার কে অনুব্রত মন্ডল চুরি করেছেন বাড়ি ঘর করেছেন মিল করেছেন কলেজ করেছেন তার পাপের ভাগ কে নেবে তার পরিবারই নেবে না। পার্টি তো নেবেই না।” অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মৌন আছেন। এই নিয়ে তিনি বলেন,
“দিদি এখন মৌন হয়েছেন।ভাইপোও এখন মৌন হয়েছেন।একুশে জুলাই যে বড় বড় কথাগুলো বলেছিল সেগুলো মানুষ ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি যাদের উপর ভরসা করে কথাগুলো বলেছিলেন তারা ডুবিয়ে দিয়েছে। সেজন্য এখন বলার কিছু নেই।”