ছাগলের টোপেই কাজ, বাগে এল মৈপীঠের বাঘ

ফাইল ছবি

অবশেষে স্বস্তি, খাঁচাবন্দি মৈপীঠের বাঘ। রবিবার রাতেই খাঁচায় ধরা দেয় বাঘ। টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি ছাগলকে। আপাতত পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘটি সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বন আধিকারিক (ডিএফও) নিশা গোস্বামী।

গত বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের পাশে মাকড়ি নদীর পারে ম্যানগ্রোভের ঝোপে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায় গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, রাতে আজমলমারির জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে গ্রাম লাগোয়া বাদাবনে ঢুকে পড়েছে বাঘ। এর জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে শ্রীকান্ত পল্লি-কিশোরীমোহনপুর এলাকায় বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বৈকুণ্ঠপুর পঞ্চায়েতেরই নগেনাবাদে গ্রামবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বাঘের আতঙ্ক। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভাগীয় বন আধিকারিক (ডিএফও) নিশা গোস্বামী জানান, ইতিমধ্যেই প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা হয়ে গিয়েছে। আদৌ পায়ের ছাপগুলি বাঘের কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


মৈপীঠে এর আগেও বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। গত ৬ জানুয়ারি বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীকান্ত পল্লি ও কিশোরীমোহনপুর এলাকায় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল। সেই ছাপ দেখে গ্রামে বাঘের সন্ধান শুরু হয়। গ্রামজুড়ে তল্লাশি চালায় গ্রামবাসী ও বনকর্মীরা। শুরু হয় পায়ের ছাপ অনুসরণ করার কাজ।

দেখা যায়, নদীবাঁধ সংলগ্ন বনসৃজন প্রকল্পের বাদাবনের ভিতরে সেই পায়ের ছাপ এগিয়ে গিয়েছে। সেখানে ঢুকতেই শোনা যায় বাঘের গর্জন। গ্রামবাসীদের একাংশের মতে, মৃত একটি গবাদি পশুকে নদীর পারে ফেলা হয়েছিল। সম্ভবত সেই কারণেই বাঘ খাঁড়ি টপকে গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় চলে আসে। ৮ তারিখ ভোরে বাঘ ফের জঙ্গলে ফিরে যায়।