• facebook
  • twitter
Thursday, 9 January, 2025

কুলতলিতে ফের বাঘের পায়ের ছাপ! আবার কি ফিরে এলো!

তুন করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘুম কেড়েছে বনদপ্তরের কর্মীদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারনা, রাতে আবার আজমলমারির জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে গ্রাম লাগোয়া বাদাবনে ঢুকে পড়েছে বাঘ।

ফাইল চিত্র

সেই ‘কুলতলি’, সেই ‘বৈকুণ্ঠপুর’, সেই ‘মৈপীঠ’, সেই ‘পায়ের ছাপ’! এই শব্দগুলি বারবার আতঙ্ক তৈরি করছে সুন্দরবনবাসীর বুকে। ম্যানগ্রোভের জঙ্গল পেরিয়ে আবার লোকালয়ে চলে এসেছে দক্ষিণ রায়। তবে এবার গন্তব্য হয়তো বৈকুন্ঠপুরের উত্তরে নগেনাবাদে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় মাকড়ি নদীর চরে ঝোপের ভিতরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। গত সোমবার সে লোকালয়ে ঢুকে পড়লেও দিন তিনেকের মধ্যে বনদপ্তরের তৎপরতায় কোনও বিপদ ঘটেনি। এদিন ফের মৈপীঠের কিশোরী মোহনপুর গ্রামের শ্রীকান্তপল্লি এলাকায় ফের বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে৷ যা নিয়ে নতুন করে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

বুধবার আজমলমারির গভীর জঙ্গলে ফিরে যায় সে। কিন্তু একদিন পেরতে না পেরতেই ফের সেই জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ফিরে এসেছে সুন্দরবনের এই ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’। সরাসরি সেই প্রমাণ এখনও না মিললেও এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ফলে নতুন করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘুম কেড়েছে বনদপ্তরের কর্মীদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারনা, রাতে আবার আজমলমারির জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে গ্রাম লাগোয়া বাদাবনে ঢুকে পড়েছে বাঘ।

মুখ্য বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের কাছে খবর এসেছে, জঙ্গল ছেড়ে বাঘ গ্রামে ঢুকেছে। তবে এখনও বাঘের দেখা মেলেনি। বন দপ্তরের কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় জাল দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেছেন। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সংস্থা ‘ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া’ (ডব্লিউটিআই)-র সুন্দরবন বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাঘ যাতে কোনও অবস্থাতেই লোকালয়ে চলে আসতে না-পারে, সে জন্য বন বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকরা নজরদারি চালাচ্ছেন। জেলার সহকারী বিভাগীয় বনাধিকারিক (এডিএফও) অনুরাগ চৌধুরী, রায়দিঘির রেঞ্জার শুভায়ু সাহা এবং চিতুড়ির বিট অফিসার শামিম আহমেদ ঘটনাস্থলে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।