• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আলাপনকে হুমকি চিঠির দায়ে ধৃত তিন

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার একজন চিকিৎসক সহ তিনজন।

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। (Photo: indianbureaucracy.com)

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার একজন চিকিৎসক সহ তিনজন। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকজন পদাধিকারিকে হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর ধৃত চিকিৎসকের নাম ড.অরিন্দম সেন। তিনি কেপিসি হাসপাতালের চিকিৎসক । এই ঘটনায় তিনি ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছে তাঁর গাড়ি চালক রমেশ সাউ এবং একজন টাইপিস্ট বিজয় কুমার কয়াল।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত চিকিৎসক ড.অরিন্দম সেনই তাঁর গাড়ির চালক রমেশ সাউকে ওই হুমকি চিঠি টাইপ করতে পাঠিয়েছিল টাইপিস্ট বিজয় কুমার কয়ালের কাছে। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে যেদিন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছিল শরৎ বোস রোড পোস্ট অফিস থেকে সেদিনই আরও ৭ জন পদাধিকারীকেও হুমকি চিঠি পাঠান ওই চিকিৎসক।

তবে কী কারণে তিনি এই কাজ করেন সে বিষয়ে এখনও ধন্দে রয়েছেন তদন্তকারীরা। ধৃত তিনজনকে জেরা করে এ ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের চেম্বার এবং বাড়ি রাম মোহন সরণিতে। পেশায় স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ওই চিকিৎসকের বাড়ির তলাতেই চেম্বার।

যদিও পাড়া প্রতিবেশীদের দাবি তিনি পেশায় চিকিৎসক হলেও তার চেম্বারে খুব একটা রোগীর যাতায়াত ছিল না। এমনকি ওই চিকিৎসক পাড়াতেও খুব একটা বেশি কারোর সঙ্গে মেলামেশা করতেন না। বাড়িতে একাই থাকতেন ধৃত চিকিৎসক । প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা ধৃত চিকিৎসক মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারেন। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে।

পুলিশ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী বিগত ২ বছর ধরে ওই চিকিৎসক বিভিন্ন ব্যক্তিকে এই একইভাবে হুমকি চিঠি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে একটি হুমকি চিঠি পান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।

চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আপনার স্বামীকে খুন করা হবে। কেউ তাঁকে বাঁচাতে পারবে না।’ নিচে প্রেরক হিসেবে নাম ছিল রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের দুজনের। এর পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সোমবার রাসবিহারী অ্যাভিনিউ থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় পেশায় টাইপিস্ট বিজয় কুমার কয়ালকে।

তাকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনার মাস্টার মাইন্ড কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক অরিন্দম সেনের নাম। তারপরে পুলিশ চিকিৎসক অরিন্দম সেনকেও গ্রেফতার করে। তার থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে গ্রেফতার করা হয় গাড়ি চালক রমেশ সাউকে। মঙ্গলবার তিনজনকেই আদালতে পেশ করা হয়।