ট্যাংরার দে বাড়ির মৃত্যু রহস্য এখনও অধরা। আর তারই মধ্যেই এবার একই পরিবারের তিনজনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল বীরভূমের মহম্মদবাজারে। শুক্রবার সকালে এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে কার্যত আঁতকে ওঠেন স্থানীয়েরা। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে, পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য।
বস্তুত যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটি মহম্মদবাজার থানা এবং মল্লারপুর থানা এলাকার সীমানায় অবস্থিত ম্যানেজার পাড়া। এ দিন সকালে অনেক ডাকাডাকির পরেও পরিবারের সদস্যরা দরজা খুলছে না দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের সদস্যরাই দরজা ভেঙে চমকে ওঠেন। দেখা যায়, বিছানার উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় কম্বল মুড়িয়ে পড়ে রয়েছেন মা লক্ষ্মী মাড্ডি (২৫) এবং তাঁর নাবালিকা মেয়ে। নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে তাঁর নাবালক ছেলে। মৃতদের দেহের একাধিক অংশে মিলেছে ক্ষতও, যা দেখে তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান খুন করা হয়েছে তিনজনকে।
তবে কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, কী কারণে খুন করা হল মা এবং দুই সন্তানকে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। জানা গিয়েছে, মৃতার স্বামী লাল্টু মাড্ডি কর্মসূত্রে থাকেন দুর্গাপুরে। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। এ দিন একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। স্থানীয়দের দাবি, যতক্ষণ না দোষীদের ধরা হবে দেহ নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। তবে পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য।