নিজের মোবাইলে মাসখানেক ধরে নেটওয়ার্কজনিত সমস্যা হচ্ছিল লেক রোডের এক বাসিন্দা। পরে গুগুল সার্চ করে বের করেছিলেন সেই নেটওয়ার্ক প্রদানকারী সংস্থার হেল্পলাইন নম্বর। তাতে ফোন করে প্রতিনিধিকে জানিয়েছিলেন সমস্ত সমস্যা। কিন্তু সেই নম্বর যে খোদ সাইবার দুষ্কৃতীদের তৈরি তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি। অভিযোগ, নেটওয়ার্ক সংস্থার নাম ভাঙিয়ে অভিযোগকারীর তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয় ১২ লক্ষ টাকা। পরে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই ট্যাংরার দুই বাসিন্দা পঙ্কজ শা (২৮) ও পঙ্কজ কুমার (২৭) সহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা।
ঘটনার সূত্রপাত গত অক্টোবর মাসে। নিজের মোবাইল নেটওয়ার্কজনিত সমস্যার সমাধান খুঁজতে ফোন করেছিলেন ওই নেটওয়ার্ক প্রদানকারী সংস্থার হেল্পলাইন নম্বরে। তবে সেই নম্বর তৈরি করেছিল জালিয়াতেরা। অভিযোগ, ভুল বুঝিয়ে অভিযোগকারীর মোবাইলের স্ক্রিন শেয়ার করতে বলা হয়। তাতে পা দিতেই কেল্লাফতে। কয়েক দফায় অভিযোগকারীর তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয় ১২ লক্ষ টাকা। লেক রোডের ওই বাসিন্দা সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে পরে দ্বারস্থ হন রবীন্দ্র সরোবর থানায়। তারপর তদন্তে নেমে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় ট্যাংরার দুই বাসিন্দা পঙ্কজ শা, পঙ্কজ কুমারকে। তাদের জেরার মুখে খোঁজ মেলে আরও এক অপরাধীকে। গাইঘাটার বাসিন্দা ওই অপরাধীর নাম তন্ময় দাস (৩৫) বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, তন্ময় বাকিদের দিয়ে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জোগাড় করার কাজ করাতো। অ্যাকাউন্ট জোগাড় করে দিতে পারলেই মিলত কমিশন। তবে এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা তার তদন্ত করছে পুলিশ।