মারধরের পর এবার হুমকি। নিরুপায় হয়ে এবার বারাসত থানার দ্বারস্থ বাগুইআটির আক্রান্ত প্রোমোটার। বারাসত আদালত চত্বরে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত প্রোমোটার ও তাঁর পরিবার। বাগুইআটিতে ৫০ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় প্রোমোটারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীরা।কিন্তু ঘটনার পর ৩ সপ্তাহ গড়াতে চললেও এখনও অধরা তৃণমূল কাউন্সিলর।
বিধাননগর পুরসভার অনুমতি নিয়ে আইনমাফিক নিজের জমিতে বহুতল নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছেন প্রোমোটার কিশোর হালদার। কিশোর হালদারের অভিযোগ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা তোলা চান। প্রথমে তিনি কাউন্সিলরকে ৩ লক্ষ টাকা দেন বলে দাবি করেন ওই প্রোমোটার। কিন্তু তারপরেও দাবি বাড়তে থাকায় টাকা দেওয়া ওই প্রোমোটারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। গত ১৬ ডিসেম্বর কাউন্সিলরের অনুগামী ছাত্রনেতা গোবিন্দ দাস, শুভেন্দু ওরফে বাবাই এবং আরও প্রায় ৪০ জন ওই প্রোমোটারের উপর চড়াও হন বকলে অভিযোগ। টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে উভয় পক্ষের তর্কবিতর্ক চলতে থাকে। কিশোর হালদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। তাঁরা এরপর বাগুইআটি থানার দ্বারস্থ হন। প্রোমোটারের অভিযোগের ভিত্তিতে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অভিযুক্ত কাউন্সিলর এখনও অধরা।
ধৃত ২ অভিযুক্ত শুভেন্দু ও রমেন মণ্ডলকে শুক্রবার বারাসত আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। সেই সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন আক্রান্ত, অভিযোগকারী প্রোমোটার এবং তাঁর পরিবার। তখন আদালত চত্বরেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই প্রোমোটার ও তাঁর পরিবার।