ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় রাজ্যের একাধিক তৃণমূল নেতা জড়িত আছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার আসানসোলের মুর্গাসোল মোড়ে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে যোগ দিয়ে এই দাবি করলেন তিনি। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন দিলীপ। অপরদিকে, ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় তৃণমূলের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। এই ঘটনায় জড়িতদের গুলি করে মারারও নিদান দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘যারা সরকারের বদনাম করে পড়ুয়াদের প্রতারিত করে তাঁদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।’
উল্লেখ্য, ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগ সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা ও মালদহ পুলিশ। জানা গিয়েছে ১ হাজার ৯১১ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা নিয়ে জালিয়াতি হয়েছে। এই নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরই মধ্যে দিলীপ ঘোষ অভিযোগ তুললেন, ট্যাব কেলেঙ্কারির পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘শিক্ষা-সহ রাজ্যের অন্যান্য কেলেঙ্কারির মতো ট্যাব কেলেঙ্কারির নেপথ্যেও রয়েছে তৃণমূল। গরিব বাড়ির ছেলেমেয়েদের ট্যাব কেনার সামর্থ্য নেই। তাই তাদের লোভ দেখিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ট্যাব বিলির নাম করে সেই টাকা ঢুকে গেল তৃণমূল নেতাদের পকেটে! এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চমৎকার!’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘আমফানের মতো একই ঘটনা ঘটল ট্যাব বিলিতে। টাকা যে দেয় সেও জানতে পারে না, কে পায় সেও জানতে পারে না । মাঝখানে টাকা গায়েব হয়ে গেল!’
যদিও ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় তৃণমূল নেতাদের জড়িয়ে থাকার অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। পাশাপাশি দোষীদের গুলি করে মারারও নিদান দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূলের লোকেরা এই টাকা বিলি করে না। তাহলে কেলেঙ্কারিতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নাকি অফিসাররা জড়িত? কারা এটা করল? তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। জড়িতদের গুলি করে মারা উচিত।’