চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যবাসীকে করোনা টিকার অন্তত একটি করে ডোজ দেওয়া শেষ হবে বলে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। টিকাকরণ কর্মসূচিতে গতি আনতে এবার বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে টিকার ডোজ কারা পাননি, দ্বিতীয় ডোজ বাকি আছে কাদের। সেই মতো প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
শয্যাশায়ী ব্যক্তি যাদের টিকা নিতে যাওয়ার ক্ষমতা নেই তাঁদের চিহ্নিত করে বাড়িতে গিয়েই টিকার ডোজ দেওয়া হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ কর্মসূচী শুরু করতে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, অসুস্থ ব্যক্তি বা রোগে শয্যাশায়ীদের চিহ্নিত করা হবে আগে। তাঁদের টিকার ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
পাশাপাশি, কোভিড ভ্যাকসিনের একটিও ডোজ নেননি এমন লোকজনকে খুঁজে বের করা হবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে দ্বিতীয় ডোজ পাননি এমন লোকজনের সংখ্যাও অনেক। কোথায় টিকার ঘাটতি হচ্ছে, ডোজ পাচ্ছেন না মানুষজন সেইসব খোঁজও নেওয়া হবে।
প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এই বিষয়ে নির্দেশ পাঠানো হবে। স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীদের একটি টিম তৈরি করা হবে। এই টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের ব্যাপারে খোঁজখবর করবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলছেন, হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করতে হলে টিকার ডোজ নেওয়া জরুরী। এখনও টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন অনেকে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে টিকার ডোজ নেওয়ার উৎসাহও দেবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাছাড়া বয়স্ক, শয্যাশায়ীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। পুজোর পরে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে নবান্ন।
রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও যোগ দেন ওই বৈঠকে। মুখ্যসচিব পরামর্শ দিয়েছেন, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোভিড টেস্ট আরও বাড়াতে হবে।
করোনার টিকাকরণ বাড়ানোয় বেশি জোর দিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। তাঁর বক্তব্য, ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮ ঊর্ধ্ব সাত কোটিকে টিকার অন্তত একটি ডোজ দেওয়া শেষ হবে। তারই পরিকল্পনা চলছে জোরকদমে।