করােনা ভাইরাসের জেরে এবার জঙ্গলমহলের কালীপুজোতে বাজেটে কাটছাঁট করেছে পুজো কমিটি গুলি। যার বড় প্রতিমা দিয়ে পূজো করতেন তারা এবার ছােট কালী ঠাকুরে পূজো সারছেন। ফলে বড় প্রতিমা গড়ে বিপাকে পড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
পূজো কমিটি গুলি আট দশ হাজারের প্রতিমার বদলে অনেকে আড়াই তিন হাজার টাকার ছােট প্রতিমা নিয়ে যাচ্ছেন। কালী পূজোতে অনেক আশা নিয়ে বড় ঠাকুর তৈরি করেছিলেন প্রতিমা শিল্পীরা। কিন্তু সেগুলি বিক্রিই হয়নি পড়ে রয়েছে। ফলে লাভ তাে দূরস্থ তার জায়গায় পুরােটাই ক্ষতির মুখে পড়েছেন, প্রতিমা শিল্পীরা।
ঝাড়গ্রামের জেলার বিভিন্ন ব্লক গুলিতে বেশ অনেক গুলি বড় কালী পূজা হয়। প্রতিমাও বেশ ভাল হয়। কিন্তু এবার সবটাই আলাদা। থিমের পুজা বা থিমের প্রতিমা এবার খুব একটা হচ্ছে না। প্রতিমা শিল্পীদের কাজের জায়গায় সারি সারি প্রতিমা পড়ে রয়েছে। বিশ্বকর্ম পুজা, দুর্গা পুজাতেও লাভ পান নি শিল্পীরা।
কালী পুজায় লাভের আশায় ঠাকুর গড়ে ছিলেন শিল্পীরা। কিন্তু সেখানেও একই রকম ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। ফলে মাথায় হাত পড়েছে তাদের। সারা বছর ধরে বাঙালীর এই উৎসবের মরশুমে লাভের মুখ দেখার আশায় থাকেন শিল্পীরা। কিন্তু করােনা আবহে সব কিছুকেই জল ঢেলেছে। তৈরি হওয়া প্রতিমা গুলি পড়ে রয়েছে। এক রাশ হতাশা শিল্পীদের চোখে মুখে। ঝাড়গ্রাম শহরের চন্ডীপুরের ফনির মােড় এলাকার প্রতিমা শিল্পী প্রদীপ সাহা গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিমা তৈল্পি কাজ করে আসছেন। প্রতি বছরের মতাে এ বছরও অনেক আশা নিয়ে প্রতিমা গড়েছেন।
কিন্তু লাভের জায়গায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। প্রদীপ বাবু বলেন এবার প্রতিমা গড়ে কোন লাভ করতে পারিনি। যারা কালী প্রতিমার বয়না করছেন সে গুলি সবই ছােট আকারে। আট থেকে দশ হাজারের প্রতিমার জায়গায় আড়াই তিন হাজারের প্রতিমা নিচ্ছেন কমিটি গুলি। বাজারে আবার একশাে দেড় শাে টকার ঠাকুরের প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা। নতুনডিহির প্রতিমা শিল্পী সঞ্জিব দাস বলেন এবার বেশির ভাগ ছােট ছােট প্রতিমায় পূজা হচ্ছে। থিমের প্রতিমার চাহিদা নেই। ফলে লাভ তাে হয় নি উল্টে ক্ষতির সামনে পড়েছি আমরা শিল্পীরা। বড় প্রতিমার বয়না নেই। আর এই ভাবেই ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গলমহলে বিভিন্ন ব্লকের প্রতিমা শিল্পীদের মধ্যে এক চরম হতাশা দেখা দিয়েছে।