তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মমতা সরকারের লক্ষ্য ছিল শিল্পের মাধ্যমে রাজ্যের উন্নয়ন। কোভিড পরিস্থিতিতে গত দুবছর বন্ধ থাকার পরে এবছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হতে চলেছে এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে।
সেই সম্মেলনে সমগ্র বাংলার শিল্প সম্ভাব্বাকে তুলে ধরতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দু সপ্তাহ আগে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির শিল্পের বিভিন্ন আঙ্গিক নিয়ে সেখানকার শিল্পপতি এবং বণিকসভার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এবার একইভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যসচিব। আগামীকাল বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে হবে এই বৈঠক।
রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীবা সিনহা জানিয়েছেন, আগামীকালের প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার এবং রাষ্ট্রদূতরা।
তাঁদের সামনে বাংলার শিল্প বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে এদিন গুরুত্ব দেয়া হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির শিল্প সম্পদের ওপর।
এদিনের বৈঠকে ডাকা হয়েছে কলকাতা সংলগ্ন দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পপতি ও চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিদের। বিদেশি বিনিয়োগ আনার জন্য তাদের উদ্যোগী করে তোলাই এই বৈঠকের লক্ষ্য।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা সবজি চাষের পক্ষে আদর্শ। ভাঙড়ের বহু সংস্থা বিদেশে সবজি রপ্তানি করে থাকে। এছাড়া দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহু জায়গায় জৈব চাষ প্রক্রিয়ায় ফসল ফলে।
নবান্ন চায় এই সম্ভাবনার প্রসার। আলু নিয়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ভাবনা বাম আমল থেকেই ছিল। এছাড়া আরও কিছু নিয়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করতে চায় রাজ্য সরকার।
হুগলি নদীর দুপারে যে শিল্পের পরিকাঠামো এতদিন প্রায় অব্যবহৃত হয়ে পড়ে রয়েছে তাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তার রুট ম্যাপ তৈরি নিয়ে আলোকপাত করা হবে কালকের বৈঠকে।