করোনাভাইরাসের জেরে ৬২৩ বছরের ঐতিহ্য এবার ভাঙছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তথা বিশ্বখ্যাত শ্রীরামপুরের এবছরের ৬২৪ তম রথযাত্রা। শনিবার এবছরের রথযাত্রা নিয়ে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের তরফে একটি বৈঠক করা হয়।
এদিনের এই বৈঠকে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য তথা প্রধান সেবাইত সৌমেন অধিকারী জানান এবছরের রথযাত্রা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের কথা।
সৌমেনবাবু আরও জানান, প্রতিবছরই লক্ষাধিক মানুষের আগমন হয় মাহেশের রথ ও মেলাকে কেন্দ্র করে। গত বছরও প্রায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল রথের সময়। এই বছর করোনার আবহে একসঙ্গে এত মানুষের জমায়েত হলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
সেই হিসাবে পরিস্থিতির গুরুত্ব মাথায় রেখে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেই মত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন জেলাশাসককে সঙ্গে নিয়ে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা বৈঠক করেন।
অন্যদিকে সৌমেনবাবুর ছেলে তথা মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের অপর সেবাইত তমাল অধিকারী জানান, করোনার জেরে এবছর রথযাত্রা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পুজো ও যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান রীতি মেনেই করা হবে। এমনকি পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দিরের তরফেই জগন্নাথের পুজো, আচার সমস্ত কিছু ফেসবুক লাইভে দেখানো হবে।
অপরদিকে এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, এবছর যেহেতু পরিস্থিতিটা অন্যরকম এবং করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিবছর যেমন প্রশাসনের তরফে আয়োজন করা হয় এবছরও সেই একই রকম আয়োজন করা হবে।
পাশাপাশি মন্দিরের কিছু সংস্কারের প্রয়োজন থাকায় এদিন পূর্ত দফতরের আধিকারিকদেরও কো হয়। যত দ্রুত সম্ভব মন্দির পরিদর্শন করে সংস্কারের কাজ শুরু করবে পূর্ত দফতরের কর্মীরা।