কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শাহের সভার জবাবে পৈলানের মঞ্চে পাল্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঙ্কার দিয়ে বলেন বাংলা ঘুরে মানুষের মন পড়েছি, এবারের ভােটে ২৫০-এর কম আসন পাবে না তৃণমুল। ‘অমিত শাহের প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভােট আসায় প্রতিশ্রুতির জোয়ার। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে ২ কোটি চাকরি থেকে শুরু করে হাজার হাজার প্রতিশ্রুতি শােনা গিয়েছিল নরেন্দ্র মােদি-অমিত শাহের মুখে।
কিন্তু সরকার গড়ার পর কিছুই হয়নি। আগে বাংলায় এসে অমিত শাহ বলেছিল, আমরা সব চাষীকে ১৮ হাজার টাকা দেব। আজ আবার কান্দীপে চার লাখ মৎস্যজীবীদের টাকা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বলছি, আগে টাকা দিন। তার পর এবার ভােট চাইবেন। বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর মানুষ মেনে নেবে না।
কিন্তু তৃণমূল সরকারকে ভােট দেওয়ার আগে স্বাস্থ্যসাথী থেকে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী থেকে একশাে দিনের কাজ- তৃণমূল সরকারের সমস্ত ঘােষিত প্রকল্পের হিসাব নিয়ে নিন। তারপর জোড়াফুল চিহ্নে ছাপ দিন।
তিনি বলেন, ‘যারা মঞ্চের পিছনে ব্যানারে কী লেখা আছে তা পড়তে জানে না তারা বাঁচাবে নাকি বাংলা। সােনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচেছ অথচ সােনার বাংলা উচ্চরণই করতে পারে না। এই লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার লড়াই নয়, এই লড়াই বাংলার সংস্কৃতি-কৃষ্টি না জানা মানুষের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচানাের লড়াই। ‘এখানেই শেষ নয় তৃতীয়বার জিতে হ্যাটট্রিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক আরও বলেন, বিজেপি বলছে, সাত বছরে বাংলাকে তিন লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। আমি বলছি, সাত বছরের হিসাবে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা বাংলা থেকে কেটে নিয়েছে কেন্দ্র। সেই টাকা দিয়ে এমএলএ, এমপি কিনছে। তৃণমূল থেকে নেতা নিয়ে যাচ্ছে চার্টার্ড বিমানে। পুরনাে বিজেপি কর্মীরা টোটোও পাচ্ছে না।