নির্ধারিত সময়ে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হলে তা হবে ২০২১-এর এপ্রিল-মে মাস নাগাদ। প্রায় এক বছর আগে থেকে এরাজ্যের দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল-বিজেপি নিজেদের দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে রণকৌশল ঠিক করছে। তারই অঙ্গ হিসেবে আগামী ৫ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রথমে জানা গিয়েছিল, ২৯ মে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন। কিন্তু পরে এই সময়সূচিতে পরিবর্তন ঘটানো হয়। তবে এর আগে ৮ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাড়ে চারশোর বেশি দলীয় নেতার সঙ্গে একসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমমা জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই দলীয় নেতাদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবেন। এই দুটি কর্মসুচি তৃণমূলের পূর্ব ঘোষিত।
এদিকে বসে নেই বিজেপিও। আগামীর কথা ভেবে কেন্দ্রীয় সরকারের ৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে এই প্রথম ভার্চুয়াল জনসভা করতে চলেছে বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা অমিত শাহ। প্রায় এক হাজার দলীয় নেতার সঙ্গে তিনি ভিডিও কনফারেন্স করবেন। আগামী ৮ জুন তিনি বঙ্গ বিজেপি’র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
অন্যদিকে, আগামী ৫ তারিখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের আগে আজ, মঙ্গলবার দুপুর ৩ টের সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব ও রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের জেলা সভাপতি, কো-অর্ডিনেটর এবং বিধায়করা এই বৈঠকে থাকবেন। জুম অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সে এই বৈঠক হবে।
করোনা আবহের কারণে দলের সাংগঠনিক বৈঠক জমায়েত করে আর এখন হচ্ছে না। সেকারণে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই বৈঠক হচ্ছে। কারণ, সংগঠনকে চাঙ্গা করতে হলে প্রযুক্তির মাধ্যমে বুথস্তর পর্যন্ত যেতে হবে। মাঠ ফাঁকা ছেড়ে দিলে বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। সেকারণে আগামীর কথা মাথায় রেখে এইউদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আজই বিজেপি’র নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষিত হয়েছে এবং সেখানে প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আগামী ৫ তারিখ দলীয় নেতাদের তৃণমূল নেত্রী কি বার্তা দেন, সাংগঠনিক কোনও রদবদল হয় কিনা তার দিকে তাকিয়ে তৃণমূলের নেতারা।