পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগের প্রতিবাদ করতে আচমকাই বনধ ডাকে বিজেপি। সোমবার দুপুরে আবার আচমকাই বনধ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার আর্জি জানান। এদিকে দলে কোনও আলোচনা ছাড়াই বনধ ডাকা হয়েছে বলে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন উনি যেটা বলেছেন সেটা দলের মাধ্যমে জেনেছি।
কিন্তু আচমকা বনধ ডাকা ছাড়া উপায় ছিল না আমরা হঠাৎ করেই ডেকেছি। যে কারণে বনধ সেই ভোটে সন্ত্রাস নিয়ে তো আর সাতদিন পরে বনধ ডাকা যায় না।
আচমকাই বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিধানসভা নির্বাচনের পর যত দিন সামনের দিকে এগোচ্ছে বিজেপির শক্তি ক্ষয় হচ্ছে। ফলে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই কেন বনধ ডাকা হল তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই অনেক প্রশ্ন উঠেছে।
বনধ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন অনেক জায়গাতেই বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামা বিজেপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের তরফে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয় সোমবারের বনধে কোনো প্রভাব পড়েনি রাজ্যে।
এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল অনেক কিছু দেখতে পায় না। এটা তৃণমূলের চোখের দোষ। স্কুল নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে সেটাও তৃণমূল দেখতে পাচ্ছে না।
ঠিক একইভাবে বনধের প্রভাবও দেখতে পাচ্ছে না সুকান্ত মজুমদার যে দাবিই করুন না কেন বিজেপির ডাকা বনধে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি রাজ্যে এটা বলাই বাহুল্য।