• facebook
  • twitter
Tuesday, 24 September, 2024

‘সুপ্রিম’ নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার পদে নিয়োগে বাধা রইল না 

উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে আর বাধা রইল না। কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই রায় দেন। হাইকোর্টের  নির্দেশের বিরোধিতা করে কিছু চাকরিপ্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশে এখনই হস্তক্ষেপ করছে না দেশের শীর্ষ আদালত।  

উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে আর বাধা রইল না। কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই রায় দেন। হাইকোর্টের  নির্দেশের বিরোধিতা করে কিছু চাকরিপ্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশে এখনই হস্তক্ষেপ করছে না দেশের শীর্ষ আদালত।  

 
উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল , ১৪ হাজারের বেশি শূন্য পদে নিয়োগ করতে হবে রাজ্যকে। ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। এর ফলে ফের ১৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত হয়।  কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে , নতুন কোনও আবেদন শোনা হবে না। হাইকোর্টের মূল মামলাকারীদের বক্তব্যই শোনা হবে।  
 
২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে নানা জটিলতার আবর্তে আটকে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মেধাতালিকা নিয়ে একাধিক অভিযোগ এবং অনিয়মের ভিত্তিতে মামলাকারীরা আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন।  ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। আবার ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল হাই কোর্ট। তবে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, এসএসসি কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না।  চলতি বছর আগস্ট মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, উচ্চ প্রাথমিকে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তার ভিত্তিতে কাউন্সেলিং করে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে কমিশনকে। আদালতের ওই রায়ের ফলে প্রায় ৮ বছর পরে ১৪ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগ শুরু করেছিল এসএসসি।
 
২০২৩ সালে শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ থেকে ১,৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মামলাকারীরা জানান, ওই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী কারণ তা চাকরিপ্রার্থীদের জানানো হয়নি। পরে চার বার তা খতিয়ে দেখে এসএসসি। শেষে ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়েন ৭৪ জন। সে ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।
 
সোমবার উচ্চ প্রাথমিকের ২০১৬ সালের মেধাতালিকা প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে মেধাতালিকা। ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হবে অস্থায়ী শিক্ষকের জন্য। বাকি পদে নিয়োগের মেধাতালিকা আবার প্রকাশ করা হবে। 
 
উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন আটকে থাকায় অনিশ্চয়তা ও অসহায়তার সম্মুখীন হতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের। তবে এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর নতুন আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা।  তাঁদের আশা, নতুন মেধাতালিকা অনুযায়ী দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।