• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

দিদি এমন ‘বলছেন’ যে পুরাে দলটাই বিজেপি হয়ে গিয়েছে

রবিবার বাম-কংগ্রেস-আইএসএফর বিগ্রেড সমাবেশে সমর্থকদের বেঁধে দেওয়া সুরেই বিরােধীদের আক্রমণ করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র।

ব্রিগেড সমাবেশে সূর্যকান্ত মিশ্র (Photo: Twitter | @CPIM_WESTBENGAL)

রবিবার বাম-কংগ্রেস-আইএসএফর বিগ্রেড সমাবেশে সমর্থকদের বেঁধে দেওয়া সুরেই বিরােধীদের আক্রমণ করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। দিলেন কিল্পের বার্তাও। বিজেপি-তৃণমূল নয়, বরং বিকল্প বামপন্থীরাই। ব্রিগেডে সেই কথাই ফের শােনা গেল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের মুখে। 

দলীয় কর্মীদের তাঁর বার্তা, ‘তৃণমূল-বিজেপি নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে, এ বলে আমাকে দেখ, ও বলে আমাকে দেখ। আমাদের তার মধ্যে যাওয়ার দরকার নেই। আমাদের বিকল্প নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে।’ 

কী ধরনের বিকল্প, তাও স্পষ্ট করেছেন সূর্যকান্ত। তাঁর কথায়, ‘আমাদের রাজ্যের ৭১ ভাগ মানুষই শ্রমিক, খেটে খাওয়া ও কৃষক। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং ভাগাভাগির রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমরা একটা বিকল্প চাই। আমরা কাজ চাই। বেকারের দাবি নিয়ে লড়াই চাই। পশ্চিমবঙ্গে যত শূন্যপদ আছে, এক বছরের মধ্যে সবটা পূরণ করা যায়, এমন একটা বিকল্প চাই বাংলায়। কৃষিতে বিনিয়ােগ বাড়াতে হবে। তৈরি করতে হবে কর্মসংস্থান। একশাে দিনের কাজকে ২০০ দিন করতে হবে। খাদ্যের নিরাপত্তা দিতে হবে। মানুষের সম্মতির ভিত্তি বড় শিল্প হবে।’ 

বিকল্পের এই বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তােপ দেগে বামফ্রন্ট রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘প্রথমে শুরু করলেন দিদিকে বলাে, সবাই বলল কিছু হল না। তারপর পাড়ায় সমাধান, এমন সমাধান করেছেন যে বাকি দলটা বিজেপি হয়ে গেল। উনি একাই বাকি। সরকার চাই, যে সরকার আপনারা ঠিক করবেন। আমরা চাই না, একা একা কেউ ঠিক করুক রাজ্য কীভাবে চলবে।’ 

তিনি আরও বলেন, কাজ চাই চাকরি চাই। দাবি জানাতে গেলেই শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র-যুবরা আক্রান্ত হচ্ছেন। সারাক্ষণ বিভাজন তৈরি শাসন চলছে। আমরা কাজ চাই, বিকল্প চাই। অবিলম্বে সরকারে এসে সমস্ত শূন্যপদ পূরণের দরকার। একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘আমাদেরই বিকল্প নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। আমাদের কথা নয়, মানুষের সঙ্গে কথা হবে, বার্তা ছড়াবে, জানতে হবে কী চান তাঁরা।’ 

এরপর তৃণমূল-বিজেপিকে একবন্ধনীতে ফেলে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে শ্রমিক কৃষক, মেহনতি ও অন্যান্য অগ্রসর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। শােষিত, লাঞ্চিত বঞ্চিত হচ্ছে। তখন ওদের তরজা চলছে। তরজা গানের পার্টি একটাই। মানুষকে ভাগ করাে আর শাসন করাে।’