• facebook
  • twitter
Wednesday, 8 January, 2025

আরজিকর-এর ঘটনায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা

ন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু, দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সিবিআই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে না পারায়, জামিন পেয়েছেন।

ফাইল চিত্র

আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জামিন পেয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। কয়েকদিন আগে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা পড়ুয়া চিকিৎসকের বাবা-মা। তাঁরা মামলাটির আরও তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানান। এবার একই আবেদন জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, এই নৃশংস ঘটনার পিছনে আরও লোক আছে। তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। যদিও মামলাটির পিটিশন এখনও জমা দেওয়া হয়নি বলে সূত্রের খবর।

গত শনিবার নিম্ন আদালতে দাবি করেছেন, এই ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার এক যুক্ত নন। নেপথ্যে আরও অনেকে যুক্ত রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে। এবিষয়ে আদালতে ৫৭ পাতার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তবে তাঁরা নতুন করে তদন্ত চাইছেন না বলে রাজ্যের একটি সংবাদ সংস্থার দাবি। বরং তাঁরা ঘটনার আরও তদন্ত চাইছেন। সেজন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। যাতে এই ঘটনার পিছনে আরও কে কে যুক্ত আছে, তা সামনে আসে। তাঁরা বলেন, ‘এই ঘটনায় আরও কেউ রয়েছেন। তাঁদের খুঁজে বার করা হোক।’ সেজন্য তাঁরা ঘটনার আরও বিস্তারিত তদন্ত চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।

বাবা-মায়ের সঙ্গে একই কথা বলেন নির্যাতিতার আইনজীবী অমর্ত্য দে। শনিবার তিনি আদালতে বলেন, ‘এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত রয়েছেন, তা প্রকাশ্যে আসুক। আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও উঠে আসুক তদন্তে।’ তিনি বলেন, ‘পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণে সিসিটিভি ফুটেজের যে অংশ দেখা যাচ্ছে, তাতে এক জনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব না। এর নেপথ্যে অন্য কেউ থাকতে পারেন। ধৃত এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন।’ পাশাপাশি, নির্যাতিতার আইনজীবী এই তদন্তের পাশাপাশি, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের সর্বোচ্চ সাজারও আবেদন জানিয়েছেন। এ বার তাঁরা বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।

প্রসঙ্গত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু, দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সিবিআই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে না পারায়, জামিন পেয়েছেন। যদিও ধৃত সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আরজিকরের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের এখনও তদন্ত চলছে। সেজন্য তিনি এখনও জেলেই থাকবেন।

এদিকে দিল্লির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একজন নন, আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। নির্যাতিতার শরীরে যে ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞেরা সিবিআই-কে জানিয়েছেন, এই অপরাধ এক জনের পক্ষেও ঘটানো সম্ভব। সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদনের সঙ্গে ঘটনার তথ্যপ্রমাণ মিলিয়ে দেখতে হবে। তবেই এ সম্পর্কে আরও ‘নিশ্চিত’ হওয়া যাবে।