দূষণমুক্ত হলদিয়া গড়ে তুলতে এগিয়ে এলো পড়ুয়ারা

প্রতীকী ছবি (Getty Images)

শিল্পনগরী হলদিয়া আজ দূষণের কবলে জর্জরিত। প্রকৃতির সর্বত্রই নির্বচারে চলছে সবুজ হত্যার লীলা। আর এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে পৃথিবীর বুকে আশ্রয়রত মানুষ নামক শ্রেষ্ঠ জীব।

অন্যদিকে সুপার সাইক্লোন আস্ফান ঝড়ের তাণ্ডবে সমগ্র হলদিয়া নগরীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত উপড়ে পড়েছে রাশি রাশি সবুজ লাশ।ফলস্বরূপ পরিবেশ দূষণের উপক্রম আরও দীর্ঘ মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে । তাই হলদিয়া এলাকায় ‘ফিনিক্স পরিবার’ ও ‘জিওগ্রাফি গাইড সেন্টারের’ উদ্যোগে তারা শুরু করেছে এক অভিনব প্রয়াস, ধরনীকে সবুজ, সুন্দর ও দুষণমুক্ত করে তােলার জন্য।

সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা একত্রিত হয়ে গত কয়েক বছর ধরে এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে করে চলেছে বৃক্ষরােপণ এবং আজ তারা সাপুয়া গ্রামের প্রতিটি পরিবারের হাতে তুলে দিচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা, যাতে করে এলাকার প্রত্যেকেই নিজের বাড়ির চারপাশে সুন্দর বাগান তৈরি * করতে পারে।


সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনের কর্ণধার ‘মিন্টু দাস’, অনুপম বেরা , নবদ্বীপ প্রামানিক, ও স্বাগতা বেরা জানায় সেন্টারের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ তাদের নিজেদের পকেট মানি বাঁচিয়ে কিভাবে আর্থিক সাহায্য দিয়ে সংগঠনকে বহুসংখ্যক চারাগাছ প্রদান করেছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানাে হয় তারা আগামী দিনে আরও বহু সংখ্যক বৃক্ষ রােপন ও প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে দুঃস্থদের শীতবস্ত্র প্রদানের দিকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ তাদের সকলেরই লক্ষ সবুজ, সুন্দর ও দূষণমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার সঙ্গে সঙ্গে মানবতাকে উজ্জীবিত করা। যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম নির্বিঘ্নে জীবন-যাপন করতে পারে।

কিন্তু তাদের সামনে এখন প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে করােনা মহামারী। তাই তারা সরকারি বিধি নিষেধ ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই আগামী দিনগুলােতে তাদের অঙ্গীকার পূরণের লক্ষে এগিয়ে চলবে। তাদের এই প্রচেষ্টাকে সর্বান্তকরণে সমর্থন করেছেন সমস্ত এলাকাবাসী ও বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।