কৃষ্ণনগর কাণ্ডে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত শুরু করল রাজ্য। যার নেতৃত্বে রয়েছেন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে। একই সঙ্গে, তদন্তে সিআইডি-র সহায়তা নেওয়া হচ্ছে বলেও বৃহস্পতিবার জানান এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার।
বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপারের অফিসের অদূরেই উদ্ধার হয় এক নাবালিকার অর্ধনগ্ন দগ্ধ দেহ। যা নিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই মৃতার প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে, সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যদিও রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই জানিয়ে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবার। যা নিয়ে এডিজি সুপ্রতিম সরকার নির্যাতিতার পরিবারের দাবিকে পূর্ণ সম্মান জানিয়ে বলেন, ‘পরিবারের আবেগ এবং দাবির প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে।’
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় ময়নাতদন্ত। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলেও জানান এডিজি সুপ্রিম সরকার। একই সঙ্গে ঘটনার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ, তা জানতে সিআইডির সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করার পর রাসায়নিক প্রয়োগ করে পোড়ানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’