জীবাশ্ম থেকে অ-জীবাশ্ম জ্বালানির পথে হাঁটছে রাজ্য

নিজস্ব চিত্র

গত তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা বেড়েছে ২৫ শতাংশ! বর্তমানে রাজ্য ২১০০ মেগাওয়াট অবধি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম! এমনটাই জানালেন রাজ্যের অচিরাচরিত ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎস দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী  মহঃ গুলাম রব্বানি।

গতকাল কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইআই)-এর পূর্ব শাখা কলকাতায় ‘এনার্জি কনক্লেভ’ -এর আয়োজন করেছিল। এই কনক্লেভের থিম ছিল ‘অ্যাকসিলারেটিং ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’জ লো-কার্বন ট্রান্সফর্মেশন থ্রু এনার্জি এফিশিয়েন্সি’। এই কনক্লেভেই রাজ্যের শক্তিমন্ত্রী এমন বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ক্রমশ  অ-জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে তিনি তুলে ধরেন সোলার রুফটপ উদ্যোগ, পশ্চিমবঙ্গ গ্রিন করিডর প্রকল্পের কথা। সোলার রুফটপ উদ্যোগে ছাদে ছাদে ১৫০ মেগাওয়াটেরও বেশি ক্ষমতার সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ গ্রিন করিডর প্রকল্পে রাজ্য গ্রিডে সংযুক্তিকরণ হয়েছে ১,২০০ মেগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির। এই সব তথ্য উঠে এল তাঁর বক্তব্যে।


অচিরাচরিত ও পুনর্নবীকরণ-যোগ্য শক্তির উৎস দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বরুণ কুমার রায় (আইএএস) ৯০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতা বিশিষ্ট পুরুলিয়া পাম্পড স্টোরেজ প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। সুন্দরবনে ১৯৯০ সালে মিনি-গ্রিড যে উদ্যোগ নেওয়া হয়, তার কথাও জানান তিনি। সোলার রুফটপ প্রকল্পে জার্মান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মধ্যে সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সিআইআই রাজ্য কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং টিএসডিপিএল-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সন্দীপ কুমার জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রাজ্য বাজেটে শক্তি দপ্তরের জন্য ৮১.৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।