অশান্তি রুখতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে পারে রাজ্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই রায়দান ঘটলো।
গত বুধবার এই মামলার রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। দিল্লির বিজেপি – র বহিষ্কৃত নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্য ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গেও অশান্তি ছড়িয়েছে এবং সেই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। ওই মন্তব্যকে ঘিরে ছড়িয়ে পড়া অশান্তির প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে মোট ছ’টি জনস্বার্থ মামলা রুজু করা হয়।
গত বুধবারের মধ্যে সেই মামলাগুলির শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। এদিন আদালত নির্দেশ দেয় , ‘ যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে পারে রাজ্য সরকার’।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই জনস্বার্থ মামলাগুলির শুনানি চলছিল। এদিন সেই প্রসঙ্গেই প্রধান বিচারপতি জানান , ‘ যেকোনও অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই রাজ্যকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ‘ অশান্তি এড়াতে অবিলম্বে ধরনের রাজ্যকে সমস্ত ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
যেসব জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে , সেখানকার ভিডিয়ো ফুটেজ দ্রুত সংগ্রহ করতে হবে। নতুন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে এবং ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আগেই সরকার ও প্রশাসনকে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে পারে।
পাশাপাশি আদালতের এই নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে , তা আগামী ২৭ জুনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করে জানানোরও নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের তরফে এদিন জানানো হয় গত দুদিনে রাজ্যে কোন তেমন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি ।