• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র মামলায় সময় চাইল রাজ্য সরকার

রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল

তৃণমূল জমানায় দেওয়া রাজ্যের সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট গত মে মাসে বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।
হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল।

রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। ওবিসি শংসাপত্র মামলায় জবাব দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আরও সময় চাইল রাজ্য সরকার। ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলায় প্রচুর মামলাকারী রয়েছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতির এজলাসে সিব্বল জানান, অন্য পক্ষ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একগুচ্ছ নথি জমা দিয়েছে। তাই তাঁর এ বিষয়ে জবাব দিতে আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। আদালত সেই সময় মঞ্জুর করেছে। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

প্রসঙ্গত, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্তদের সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যে শংসাপত্র দেওয়া হয়, তা-ই হল ওবিসি সার্টিফিকেট। কলকাতা হাই কোর্টের রায় অনুসারে, ওই ঘোষণার পর থেকেই বাতিল হওয়া শংসাপত্র আর কোনও চাকরি প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যাবে না। হাই কোর্টের এই নির্দেশের ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট। যদিও একই সঙ্গে হাই কোর্ট জানিয়েছিল যে, এই সার্টিফিকেট ব্যবহারকারী যাঁরা ইতিমধ্যে সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন এই রায়ে তাঁদের উপর প্রভাব পড়বে না।

ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে হাই কোর্টের এই রায়ের পরই তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। শীর্ষ আদালতে মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের থেকে মূলত দু’টি প্রশ্নের জবাব তলব করেছিল। প্রথমত, কোন তথ্য-পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ৭৭টি সম্প্রদায়কে অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, রাজ্যের অনগ্রসর কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়েছিল কি না। হলফনামা আকারে এ বিষয়ে রাজ্যের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছিল। তার জবাব দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় চেয়েছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল।