• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

ময়নাগুড়িতে জাল ধানের বীজ ধরা পড়তেই কমেছে বীজ বিক্রি

ময়নাগুড়ি, ৩০ মে:  দুই দিন আগে ময়নাগুড়ির কর্মতীর্থ ভবনে হানা দেয় পুলিশ। জাল ধানের বীজ বিক্রয় বন্ধ করতে অভিযান চালায় পুলিশ। বিভিন্ন নামী বীজ কোম্পানির অভিযোগ পেয়ে এই অভিযান চালায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনায় চাপে পড়ে যায় স্থানীয় কৃষি দফতর। অভিযোগ পেয়ে ওই দোকান সিল করে দেয় কৃষি দফতর। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তপন কুমার দে পালিয়ে

ময়নাগুড়ি, ৩০ মে:  দুই দিন আগে ময়নাগুড়ির কর্মতীর্থ ভবনে হানা দেয় পুলিশ। জাল ধানের বীজ বিক্রয় বন্ধ করতে অভিযান চালায় পুলিশ। বিভিন্ন নামী বীজ কোম্পানির অভিযোগ পেয়ে এই অভিযান চালায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনায় চাপে পড়ে যায় স্থানীয় কৃষি দফতর। অভিযোগ পেয়ে ওই দোকান সিল করে দেয় কৃষি দফতর। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তপন কুমার দে পালিয়ে গেলেও পুলিশের তদন্ত থেমে নেই। জাল ধানের বীজ বিক্রয় নিয়ে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তপন কুমার দে ইসলামপুর থেকে এই ধানের বীজ সংগ্রহ করতো।

কৃষকদের অভিযোগ ওই ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে বস্তা বস্তা ধানের বীজ বিক্রি করছেন। থানায় লিখিত অভিযোগের খবর জানতে পেরেই গা ঢাকা দেয় ওই অসাধু ব্যবসায়ী। তবে পুলিশ ওই ব্যবসায়ীর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই ঘটনায় কৃষি দপ্তর কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা বাজারে অভিযান চালান না বলেই এই অসাধু কারবারের রমরমা।

এদিকে কৃষি দফতর ওই ব্যবসায়ীর বীজের দোকান সিল করে দেওয়ার পরই বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কৃষকরা স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ীদের ওপর বিশ্বাস হারিয়েছেন। ফলে বস্তার পর বস্তা ধানের বীজ পড়ে থাকলেও কেউ বীজ কিনছে না বলে দাবি করেন স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ীরা। বাজারে সেভাবে দেখা মিলছে না বীজ ক্রেতাদের। এখনও পলাতক ওই ব্যবসায়ীর অবৈধ কারবারের জন্য বাজারের এই অবস্থা বলে দাবি করেছেন তাঁরা। কারণ কৃষকরা কারও ওপর ভরসা করতে পারছেন না।