• facebook
  • twitter
Tuesday, 22 April, 2025

২ হাজারের বেশি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে চলেছে পূর্ত দপ্তর

গত ৩ এপ্রিল নবান্নে পূর্ত দপ্তরের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। সেতু পরিদর্শনের বিষয়ে বৈঠকেই আলোচনা হয়।

ফাইল চিত্র

মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। এবার বঙ্গে বর্ষা আসার আগেই রাজ্যজুড়ে ছোট থেকে বড় সবধরনের সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে চলেছে পূর্ত দপ্তর। প্রতিবছর বর্ষা আসার আগে সেতু পরীক্ষা হলেও এবার বিশেষভাবে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দপ্তর। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব সেতু পরীক্ষার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাঝেরহাটের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই পূর্ত দপ্তরের এমন উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, গত ৩ এপ্রিল নবান্নে পূর্ত দপ্তরের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। সেতু পরিদর্শনের বিষয়ে সেই বৈঠকেই আলোচনা হয়। তারপরেই এই নির্দেশ জারি করে পূর্তদপ্তর। নির্দেশে বলা হয়েছে, সেতু খতিয়ে দেখার পর সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ‘সমীক্ষা’ পোর্টালে আপলোড করতে হবে।

পূর্ত দপ্তরের অধীনে বর্তমানে ২২০০-রও বেশি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫০টি রয়েছে উত্তরবঙ্গে। সেই সব সেতুর স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে জানতে চাইছেন দপ্তরের আধিকারিকেরা। সেতুর অবস্থা কেমন, গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় কোন কোন সেতু রয়েছে, সেতুর বর্তমান পরিস্থিতি কেমন, তার খতিয়ান জানতে চায় পূর্ত দপ্তর। সেই কারণেই সমস্ত সেতুর দ্রুত পরিদর্শনের নির্দেশ জারি হয়েছে।

সূত্রের খবর, পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ এই তিনটি জোনের চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই কাজের জন্য। ইঞ্জিনিয়াররাই কাজের অগ্রগতির উপর নজর রাখবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। পূর্ত দপ্তর সূত্রে খবর, যাবতীয় রিপোর্ট হাতে টাওয়ার পর যে সব সেতুতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেখানে দ্রুত হাইট ব্যারিকেড বসানো হবে, সতর্কতা বোর্ড লাগানো হবে, ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মাঝেরহাটের মতো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তারজন্য এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, এত সংখ্যক সেতু স্বাস্থ্য পরীক্ষা এত কম সময়ের মধ্যে করার জন্য পরিকাঠামো রয়েছে কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।