জুনিয়র ডাক্তারদের পর এবার ধর্নায় বসলেন রাজ্যের সিনিয়র ডাক্তাররাও। সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস’ আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-র মেডিক্যাল কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যার জেরে সোমবার থেকে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সল্টলেকের দপ্তরেতাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারও সিনিয়রদের সেই ধর্না ও অবস্থান অব্যাহত রয়েছে। তাঁদের ধর্না মঞ্চে সামিল হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরসদের একাংশও। সূত্রের খবর, যেহেতু সামনেই জুনিয়র ডাক্তারদের পরীক্ষা রয়েছে, সেজন্য বাকিরা এই ধর্না কর্মসূচিতে সামিল হতে পারেন নি। তাঁরা সময় সুযোগ বুঝে পালা করে এই অবস্থানে সামিল হবেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাট ও আর্থিক দুর্নীতি সহ একাধিক মামলায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। গত ৮ আগস্টের সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচার ছড়ানোর অভিযোগে নাম উঠে আসে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের। সে সময় মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয় বলে জানা যায়। তা সত্ত্বেও ঘটনার প্রায় চার মাস পর সোমবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে অভীক দে-কে দেখা যায়। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের সিনিয়র ডাক্তাররা। প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে অভীকের উপস্থিতি নিয়ে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই তাঁরা ধর্না ও বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।
সিনিয়র চিকিৎসকের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, আরজি কর মামলা এখনও বিচারাধীন। তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র অভীকের বয়ানের ওপর ভিত্তি করে কীভাবে তাঁকে মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হল? তাহলে কি সাসপেন্ডের ঘটনা শুধুমাত্র লোক দেখানো? যদিও এবিষয়ে মেডিক্যাল কাউন্সিলের অন্যতম কর্ণধার এবং তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা ও বিধায়ক সুদীপ্ত রায় এব্যাপারে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তায় বলা হয়েছে,’কয়েকটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভীককে মেডিক্যাল কাউন্সিলের মিটিংয়ে আসতে বারণ করা হয়েছিল। তবে সে জানায় যে, চার্জশিটে তাঁর নাম নেই। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। যে কারণে অভীক দে’কে আমরা মিটিংয়ে অংশ নিতে বলি।’