সংগঠন সঠিক পথে চলছে না, ইঙ্গিত শুভেন্দুর

-- ফাইল চিত্র

বাংলার ৬টি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি সংগঠন সঠিক পথে চলছে না। পরোক্ষে এই ইঙ্গিত দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শনিবার ডেবরায় ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে সদস্যতা অভিযানে যোগ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমি বিরোধী দলনেতা। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাই না। যুক্তও থাকিনা ।কিন্তু গণআন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকার উপলব্ধি থেকে এ কথা বলতে পারি, সংগঠনকে নির্বাচনমুখী এবং দল বা মোর্চাকে আন্দোলনমুখী করতে হবে। শুধু ইনডোর মিটিং বা ভার্চুয়াল মিটিং করলে হবে না। সব সময় রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার সময় হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমাদের হাতে এক বছর সময় আছে। এই ছ’টি আসনের ফলাফল নিয়ে কেউ ভেবেছে বলে মনে হয় না।

শুভেন্দু বলেন, ২৬-এর জন্য ভোটাররা প্রস্তুত। সবাই অপেক্ষা করে আছে। বাংলায় উপনির্বাচনে কোনও ভোট হয় না। এই ভোট দিয়ে কোনও আলোচনা বা টকশো’য় অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। আপনাদের মনে থাকতে পারে, ধুপগুড়িতে উপনির্বাচনে আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সাধারণ নির্বাচনে সেই ধুপগুড়িতেই বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায় কুড়ি হাজার ভোটে জয়লাভ করেছেন। আমি বলে দিচ্ছি, লিখে নিন ২০২৬ এ মাদারিহাট, নৈহাটি, তালডাংরা এবং মেদিনীপুরে বিজেপি জয়ী হবে। তবে সিতাইয়ে জিতবে বলা যাবে না। মেদিনীপুরে ভোটের আগের দিন কী হয়েছে, সবাই জানেন। ভোটের আগের দিন বিজেপির পোলিং এজেন্টরা ঘর ছাড়া হয়ে গিয়েছিলেন। বিশেষত শালবনী এবং চাঁদড়া এলাকায়। ডেবরায় এসে আমাকে প্রেস কনফারেন্স করতে হয়েছিল।


বিরোধী দলনেতা বলেন, দলের আভ্যন্তরীণ, সাংগঠনিক বিষয়ে যখন আলোচনা হবে, তখন বিভিন্ন মত থাকতেই পারে। প্রতীক দেখে ভোট হয়। বিজেপির প্রতীক পদ্মফুল। আমাদের নেতা নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। ভারতীয় সংস্কৃতি সনাতন সংস্কৃতি, জনজাতির স্বার্থ ও অধিকার, এটাই বিজেপির মত ও পথ। দলকে নির্বাচনমুখী এবং সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করা দরকার। এই জনবিরোধী, দুর্নীতিগ্রস্ত, পুলিশ নির্ভর, রোহিঙ্গা নির্ভর, কোটি কোটি ছেলে-মেয়েকে বেকার বানিয়ে দেওয়া তৃণমূলকে উৎখাত করতে গেলে যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চা ,কৃষক মোর্চাকে আরও বেশি করে রাস্তায় থাকতে হবে।