গত অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে কর্মশ্রী প্রকল্পের আওতায় জবকার্ড প্রাপকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নবান্ন। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু হয়েছে কর্মশ্রী প্রকল্প। প্রথম বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬৪ লক্ষ জবকার্ড দেওয়া হয়েছিল। চলতি অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭৫ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারকে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রকল্পে কাজ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গত অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে জবকার্ড হোল্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গিয়েছে, ‘পথশ্রী’, ‘বাংলার বাড়ি’ নির্মাণ, জল সরবরাহের পাইপ বসানো সহ একাধিক কাজে এই সমস্ত জবকার্ড হোল্ডারদের নিযুক্ত করা হয়েছে। পঞ্চায়েত দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, জবকার্ড হোল্ডারেরা যাতে কাজ পান, তা নিশ্চিত করার জন্য কড়া নজরদারি চালানো হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে কর্মশ্রী প্রকল্পের আওতায় থাকা জবকার্ড হোল্ডারদের ৫২টি দপ্তরের কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। তাই বলা বাহুল্য, এই প্রকল্প রাজ্যের গরিব মানুষের মধ্যে ভালো সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ এই প্রকল্প ঘিরে আশাবাদী। চলতি অর্থবছরে ১ কোটি মানুষকে জব কার্ড দেওয়াই হল রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। পাশাপাশি নবান্নের ধারণা, এই প্রকল্প আগামী দিনে রাজ্যের নিজস্ব কর্মসংস্থান মডেল হয়ে উঠতে পারে।
রাজ্য সরকারের দাবি, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারণ গরিব মানুষ। রাজ্যের কর্মশ্রী প্রকল্পের কারণে কাজ পেয়েছেন অনেকে। তাঁদের সংসার চালাতে সুবিধা হচ্ছে। এর ফলে গ্রামের অর্থনীতি আরও সচল হচ্ছে। পঞ্চায়েত দপ্তর দাবি করেছে, নতুন অর্থবর্ষে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হবেন। তবে কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ আদায় করার উদ্যোগ চালিয়ে যাবে রাজ্য।