অবশেষে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিকে নজর দিতে চলেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। চলতি বছরেই এই নির্বাচন হবে। রবিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের রাজ্যের ৪১তম কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে সরকারি কলেজের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
এব্যাপারে তিনি এদিনের এই কনভেনশনে মমতা সরকারের শাসনকালে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তাতে বলা হয়, ২০১১ সালের আগে রাজ্যে সরকারি কলেজ ছিল মাত্র ৩৪টি। গত ১০ বছরে তৃণমূল সরকারের শাসনে নতুন করে ৩৩টি সরকারি কলেজ তৈরি করা হয়েছে। পরিকাঠামো, তৎপরতা, বদলি নীতি অনেকটাই স্বচ্ছ হয়েছে। আরও স্বচ্ছতা আনা হবে। কলেজগুলিতে অধ্যক্ষদের বয়সসীমা নিয়েও শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।
কনভেনশনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০২৫ সালেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। আগামী দিনে বীরভূম জেলাতেও দাবি মেনেই সরকারি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হবে। পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। আদালতের বিচারাধীন বিষয় হলেও বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতেও নির্বাচন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত এতদিন সংগঠনের কনভেনশন কলকাতাতে অনুষ্ঠিত হলেও এবার বিভিন্ন জেলাতে আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে অধ্যাপক সংগঠন। সেই কারণে এবার বোলপুরে কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের এই ৪১তম কনভেনশনে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।
এদিন কনভেনশনে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিরোধীরা হতাশা থেকে অনেক কিছুই করবে। কাজ পন্ড করার চেষ্টাও করবে। শূন্য থেকে মহাশূন্যে যাবে। মহাশূন্যেও কোনও ভর বা ভার থাকবে না। কুৎসা অপবাদ থাকবে। কিন্তু সবকিছুকে জয় করেই আবারও ছাব্বিশে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হতাশাগ্রস্তদের নিশ্চয়ই ওষুধ আছে। সময় মতো সেই ওষুধ দেওয়া হবে। ভুলে গেলে চলবে না রাজ্যে উচ্চশিক্ষা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষায় অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে।’