রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৭০০ ছাড়াল, নবান্নে বৈঠক

প্রতীকী ছবি (Photo by SAJJAD HUSSAIN / AFP)

আশঙ্কা সত্যি করে সময় যত বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণও তত বাড়ছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় রাজ্যে সংক্রামিতের সংখ্যা প্রায় ৭২৬, মৃতের সংখ্যা ৯। সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবারে সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এগিয়ে দক্ষিণবঙ্গ। সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ হল কলকাতা এবং তার লাগোয়া উত্তর চব্বিশ পরগণা।

এরপরেই রয়েছে হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, নদীয়া। দুর্গাপুজোর পর থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। সংক্রমণের হার তথা পজেটিভিটি রেট তিন শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দুর্গাপুজোর ক’টা দিনে সংক্রমণের কার্ভ উর্দ্ধমুখী হয়।

মঙ্গলবারই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাতশ ছাড়িয়েছে। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি কেমন, করোনা কার্ড কতটা উর্দ্ধমুখী তা জানতে মঙ্গলবার সন্ধেয় নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে সমস্ত জেলাশাসক এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করা হয়।


কোন জেলায় কোভিড কার্ভ কেমন, সংক্রমণের হার কেমন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কতটা বাড়ছে, কী পরিমাণ কোভিড টেস্ট হচ্ছে,মাস্ক পরার হারই বা কেমন ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সারা হয়। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন নির্দেশিকা জারি করার কথাও ভাবা হচ্ছে।

রাজ্যে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে কোভিড টেস্টে ভাটা পড়েছিল। পুজো মিটতেই টেস্টিং এবং ট্রেসিং এর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এবার উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

সেন্টিনেল সার্ভিল্যান্সের ওপরও জোর দেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ১৯ অক্টোবর থেকেই তাদের কাজে যোগ দিতে হবে।

রবিবার এবং বিশেষ বিশেষ ছুটির দিন ছাড়া বাকি দিনগুলিতে কাজ করতে হবে তাদের। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। তবে পজেটিভিটি রেট কমলেও পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে করছেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।