জনজীবনে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসতেই আবারও বাড়তে শুরু করেছে মারণরোগ করোনার হানাদারি। আর তা নিয়েই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে স্বাস্থ্য দফতর।
করোনার এই চতুর্থ ঢেউয়ে হানাদারি অনেকখানিই নিঃশব্দে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন। যা যথেষ্ট মারাত্মক হতে পারে।
তাই মানুষকে সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পুরনো অভ্যাসে ফিরিয়ে আনাটা অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করা হচ্ছে। পর্যটন মানচিত্রে বীরভূম জেলার নাম উপরের দিকেই রয়েছে।
বিগত দু’বছর ধরে করোনার কারণে অন্যান্য জায়গার মতো এজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও মানুষের আনাগোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
মার খেয়েছে পর্যটন ব্যবসা এবং তার উপরে নির্ভরশীল অন্যান্য ব্যবসাও। বিশেষ করে এজেলার হস্তশিল্পীরা আর্থিক দিক থেকে একেবারে নুইয়ে পড়েছেন।
করোনার থাবা আলগা হতেই, আবারও পর্যটকরা আনাগোনা শুরু করায়, একটা ভিন্ন পরিবেশ তৈরী হয়েছে।
কিন্তু করোনার চতুর্থ ঢেউ যে ভাবে এগিয়ে আসছে তাতে আবারও নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ।
জেলায় দু’দিনে নতুন করে ১১৮ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায়, সেই উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে বীরভূম জেলাকে রামপুরহাট ও বীরভূম স্বাস্থ্যজেলা হিসেবে ভাগ করা হয়েছে। এই দুই স্বাস্থ্যজেলা মিলিয়ে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪৫ জন।
এই ঊর্ধ্বমুখ একেবারেই উপেক্ষনীয় নয় বলেই বলা হচ্ছে। তবে, সুস্থতার হারও একেবারে নগণ্য নয় বলেই জানাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, বীরভূম স্বাস্থ্যজেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৩৩ হাজার ৭২৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২৪৬ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ হাজার ৯০৪ জন।
রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৯৫৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৫৮ জন। আর করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের।
আর এই পরিস্থিতি সত্বেও অধিকাংশই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনীহা প্রকাশ করছেন, মাস্কও ব্যবহার করছেন না।
তাই, পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে প্রশাসনের কঠোর মনোভাব গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে বলেই মনে করছেন অনেকেই।