আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে চিকিৎসক থেকে শুরু করে জুনিয়র ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, আধিকারিক – অনেককেই জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। তরুণী চিকিৎসককে খুনের ঘটনায় এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আন্দোলনরত ৪ জুনিয়র চিকিৎসক।
সূত্রের খবর, ওই চার চিকিৎসকের গতিবিধি সন্দেহজনক বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ট্রেনি ডাক্তারের মৃত্যুর পাশাপাশি আরজি করে চলা অনিয়মের সঙ্গে ওই ৪ জন যুক্ত। আর তাই দেরি না করে ওই ৪ জনকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চার জুনিয়র চিকিৎসকের মধ্যে দুজন এসইউসিআইয়ের ছাত্র সংগঠনের সদস্য। বাকি দু’জন যথাক্রমে সিপিএম এবং বিজেপি’র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। শিগগিরই তাদের জেরা করা হবে।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ারও গ্রেফতারও করে পুলিশ।
কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পায় সিবিআই। তার পরে ১৬ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু তেমন কিছু বিষয় সামনে আনতে পারেননি তদন্তকারী আধিকারিকেরা। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকা আরজি কর হাসপাতালের মর্গে হাজির হন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কী কারণে মর্গে এলেন তাঁরা, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরজি করের ট্রেনি ডাক্তারের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পাশাপাশি আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও করছে সিবিআই। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মৃতদেহ পাচারের অভিযোগ উঠেছিল।
ইতিমধ্যেই সিবিআই একাধিকবার সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বৃহস্পতিবারও চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সূত্রের খবর, মৃতদেহ পাচারের তদন্তেই আরজি করের মর্গে গিয়েছিল সিবিআই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পৌঁছন। এরপর হাসপাতালের প্লাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ের পাশের মর্গে চলে যান তাঁরা। ওই বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে কথা তদন্তকারী আধিকারিকেরা। বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহও করেন।
আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে জৈব বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন আরজি করের ফরেন্সিকের শিক্ষক দেবাশিস সোমও।