২০২২ সালের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণের দিনক্ষণ ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। আগামী ডিসেম্বর মাসের চতুর্থ সপ্তাহ থেকেই রাজ্য স্তরের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে বোর্ড।
আগামী ২০২২ সালের ২৩ এপ্রিল এই পরীক্ষা গ্রহণের দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। অফলাইন মাধ্যমে খাতায় কলমে এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। গত শিক্ষাবর্ষে, করোনা অতিমারীর মধ্যেই অফলাইন মাধ্যমে এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হলে আগামী বছরও সব রকমের কোভিড গাইডলাইন মেনেই এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে বসেই ও এম আর শিটের মাধ্যমে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে পড়ুয়াদের।
এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রাজ্যের স্নাতকস্তুরের ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রযুক্তি, ফার্মাসি ও আর্কিটেকচার কোর্সে ভর্তি করা হবে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এই সকল পড়ুয়াদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে। ২০২১ সালের পরীক্ষাটি গত জুলাই মাসের ১৬ তারিখ অফলাইন মাধ্যমে আয়োজিত হয়।
সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ২৬৪ টি দিনক্ষণ বোর্ড জন পড়ুয়া ২০২১ সালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ২০২১ সালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের পাঞ্চজন্য দে।
২০২০ সালের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের সৌরদীপ দাস। পরীক্ষা কেন্দ্রে এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। মোট ৯২৭৯৫ নিয়ম অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় মাল্টিপেল চয়েজ প্রশ্নর মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
প্রতিটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের চারটি করে অপশন প্রদান করা হয়। এই পরীক্ষায় মোট দুটি পেপার থাকে। প্রথম পেপারে অঙ্ক থেকে প্রশ্ন করা হয় পড়ুয়াদের। দ্বিতীয় পেপারে ভৌত বিজ্ঞান ও রসায়ন থেকে প্রশ্ন করা হয় পড়ুয়াদের। অঙ্ক থেকে মোট ৭৫ টি প্রশ্ন করা হবে পড়ুয়াদের।
ভৌত বিজ্ঞান ও রসায়ন থেকে মোট ৪০টি করে প্রশ্ন করা হবে পড়ুয়াদের। এই পরীক্ষায় এক ও দুই নম্বরের প্রশ্ন করা হবে। এই পরীক্ষায় থাকবে নেগেটিভ মার্কিং। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য এক চতুর্থাংশ নম্বর কেটে নেওয়া হবে।
প্রতিটি পেপারে পূর্ণ নম্বর থাকবে ২০০ এখনও পর্যন্ত এই পরীক্ষার পদ্ধতিতে কোনও পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেনি পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।