• facebook
  • twitter
Wednesday, 6 November, 2024

‘উদ্দেশ্য ছিল মমতাকে রক্ষা করা’, আরজি কর আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

প্রথম থেকেই শাসকদলের দাবি ছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে পিছন থেকে পরিচালনা করছে বাম–বিজেপি। বিশেষ করে বামেদের বিরুদ্ধে এই দাবি পরবর্তীকালে আরও জোড়ালো হয়ে উঠেছিল।

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র

ফের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এই আন্দোলনের সঙ্গে এবার জড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তিনি বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে পিছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। যাদের এতে হাত ছিল তাঁদের উদ্দেশ্যই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষা করা।’
আগামী ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছেন শাসক থেকে বিরোধী সব পক্ষই। বুধবার কোচবিহারে প্রচারে গিয়ে দিলীপ ঘোষ একাধিক ইস্যুতে শাসকদলকে আক্রমণ করেন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে আরজি কর প্রসঙ্গও। তখনই তিনি দাবি করেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পিছনে অন্য কোনও রাজনৈতিক শক্তি ছিল। দিলীপ এদিন বলেন, ‘আন্দোলন অন্ধকারে।’
পাশাপাশি তিনি জানান, জুনিয়র ডাক্তাররা একটা চিন্তাভাবনা থেকে আন্দোলনে নেমেছিলেন। পরে তা অন্যদিকে মোড় নেয়। কারণ পিছন থেকে কেউ বা কারা আন্দোলন পরিচালনা করেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ষা করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। তাই এতবড় আন্দোলনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি স্লোগানও তোলা হয়নি। পাশাপাশি দিলীপের দাবি, পুরো ঘটনাটা জুনিয়র ডাক্তাররা বুঝতে পারেননি।  তবে এই মামলায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের উপরে ভরসা রাখার কথা বলেছেন।
 উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যালে কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ–খুনের ঘটনার পর প্রতিবাদে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি করেন তাঁরা। পরে কর্মবিরতি তুলে নিয়ে ‘আমরণ’ অনশনেও শামিল হন। পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের তরফে জুনিয়র ডাক্তারদের কয়েকটি দাবিকে মান্যতা দেওয়ায় অনশন তুলে নেন তাঁরা। প্রথম থেকেই শাসকদলের দাবি ছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে পিছন থেকে পরিচালনা করছে বাম–বিজেপি। বিশেষ করে বামেদের বিরুদ্ধে এই দাবি পরবর্তীকালে আরও জোড়ালো হয়ে উঠেছিল। আবার অনেকে মনে করেছিলেন, এই আন্দোলনের পিছনে লিবারেশনের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। দিলীপ এই কথা বলে কি বামেদের দিকেই আঙুল তুলতে চেয়েছেন, নাকি তাঁর নিশানায় অন্য কেউ রয়েছে– তা এখনও স্পষ্ট নয়।