নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা- চলতি সপ্তাহের শুরুতে সোমবার ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা৷ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন৷ আহত হয়েছেন বহু মানুষ৷ সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এবার রেল পুলিশের কাছে জমা পড়ল অভিযোগ৷ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে থাকা এক যাত্রী জিআরপিএস-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ এই তথ্যই দেওয়া হয়েছে রেল পুলিশের পক্ষ থেকে৷
রেল পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় আহত এক যাত্রী সোমবার রাতেই অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ অভিযোগে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, গাফিলতি সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে৷ তাছাড়াও রেল পুলিশের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে৷ কি কারণে ঘটল দুর্ঘটনা, দায় কার সমস্ত কিছু তদন্ত করবে রেলের পাশাপাশি রেল পুলিশও৷ তদন্ত কমিশন বসবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের এডিআরএম(অতিরিক্ত ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার)-এর অফিসে৷ রেলের পক্ষ থেকে এটাও জানানো হয়েছে যে, যদি কোনও ব্যক্তির কাছে ট্রেন দুর্ঘটনা সম্পর্কে তথ্য থাকে, তাহলে তিনি সেই তথ্য তদন্ত কমিশনের কাছে চিঠি লিখে সরাসরি জানাতে পারবেন৷ সিগনালিং ব্যবস্থা, নাকি যান্ত্রিক ত্রুটি, নাকি মানুষের ভুল? কিভাবে ঘটল এত বড় দুর্ঘটনা, আজ বুধবার থেকে শুরু হবে তদন্ত৷ যাবতীয় তদন্ত হবে উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার জনক কুমার গর্গের নেতৃত্বে৷
সোমবার সকালে ফাঁসিদেওয়াতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনদিকে ধাক্কা দেয় একটি মালগাড়ি৷ তাতেই ঘটে যায় বড় দুর্ঘটনা৷ লাইনচু্যত হয়ে যায় পিছনের বেশ কয়েকটি কামরা৷ রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক, এক্সপ্রেসের গার্ড, এক ছয় বছরের শিশু সহ ১০ জনের মৃতু্য হয়েছে৷ আহত বহু৷ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে৷ রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ‘হিউম্যান এরর’ অর্থাৎ মানুষের ভুলের কারণেই ঘটেছে ভয়াবহ ঘটনা৷ তবে সত্যিই কি তাই? এক বছর আগে ঘটা করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃূতু্যর পরেও কার ভুলে ঝরল এতগুলি প্রাণ? তাই নিয়েই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ!