ষষ্ঠীর দিন ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজোয় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তোলেন ৯ জন। তাদের সেখান থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর সেদিন রাতেই জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল লালবাজার অভিযানে নামেন ধৃতদের মুক্তির দাবিতে। সপ্তমীর দিনও লালবাজারের সামনে আন্দোলন অব্যাহত থাকে। গতকাল ছিল কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি। পুজোয় স্লোগান তোলা ধৃত ৯ জনকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু সেই সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয় নির্দেশ।
কী সেই নির্দেশ ? শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ধৃত ৯ জনের জামিনের মামলা চলাকালীন বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন, ‘ পুজোর কার্নিভালের দিন কোনওভাবেই ‘ডিস্টার্ব’ করা যাবেনা। কার্নিভালের দিন কোনওরকম জমায়েত, প্রতিবাদ, মিছিল, বিক্ষোভ করা যাবেনা। ‘
বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করেই হাইকোর্টের এই নির্দেশনামা বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও ধর্মতলায় অনশনরত ৬ জুনিয়ার চিকিৎসক। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরও দুই মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই তাদের অবস্থার অবনতি শুরু হয়েছে। তাই মুখ্যসচিব এবং কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু যতক্ষণ না জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি মানা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে।
নবমীর দিন সন্ধ্যেবেলা সমাবেশ ডাকা হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে। ধর্মতলায় গতকাল দেখা যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকে জনজোয়ার। পরিস্থিতি তাই যাতে ঘোরালো না হয় সেই কথাকেই মাথায় রেখে কার্নিভালের আগেভাগেই কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কার্নিভালের দিন করা যাবে না কোনও সমাবেশ, মিছিল।