• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে বড়সড় আইনী স্বস্তি পেলেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-।এই সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ খারিজ করলেন এফআইআর। গত ২০২৩ সালে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকায় একটি অশান্তির ঘটনায় মামলা দায়ের হয় বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে।সৌমিত্রের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, মারধর এবং

সৌমিত্র খাঁ (Photo: Twitter | @MpSoumitra)

মোল্লা জসিমউদ্দিন: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে বড়সড় আইনী স্বস্তি পেলেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-।এই সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ খারিজ করলেন এফআইআর। গত ২০২৩ সালে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকায় একটি অশান্তির ঘটনায় মামলা দায়ের হয় বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে।সৌমিত্রের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগও ওঠে।সেই মামলাতেই তদন্ত করে এমপি, এমএলএ বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। এর পরেই সৌমিত্রকে তলব করেছিল নিম্ন আদালত। অভিযোগ, একাধিক বার তলব করা হলেও হাজিরা দেননি তিনি। বার বার হাজিরা এড়িয়েছেন। আর তা নিয়েই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নিম্ন আদালত।

গত ৯ জুলাই এ বিষয়ে সৌমিত্রকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাজিরা এড়ালে তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশও দেয় এমপি-এমএলএ আদালত। এরপর সৌমিত্র সেই এফআইআর খারিজের আবেদন জানান হাইকোর্টে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র নেতৃত্বে এক কর্মসূচিতে সোনামুখী থানার তৎকালীন আইসি-র উদ্দেশে কুৎসিত গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। আইসি সৌরদীপ্ত ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, -‘সৌমিত্র খাঁ তাঁর বাবা-মায়ের নাম নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন’।

বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিনই পুলিশ সোনামুখী থানার পালটা স্বত:প্রণোদিত মামলা দায়ের করেন সৌমিত্র খাঁ। সেই মামলায় বার বার তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। আর সেই কারণে সাংসদকে আইনী অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩২৩, ১৮৯, ৩৩২, ৩৫৩, ৩৫৪এ, ১০৫, ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সৌমিত্র। শুক্রবার হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ছিল মামলার শুনানি। সেখানেই সোনামুখী থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরটি খারিজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরফলে স্বস্তিতে সাংসদ।

২০২৩ সালে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকায় একটি অশান্তির ঘটনায় বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। সৌমিত্র খাঁ-র বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, মারধর এবং শ্লীলতাহানীর অভিযোগ ছিল। নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে নিম্ন আদালত।মামলাটিতে সৌমিত্রকে পাঁচবার এমপি, এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়েছেন সাংসদ। নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমিত্র খাঁ। সেই মামলাতেই শুক্রবার বিচারপতি ঘোষের নির্দেশে স্বস্তি পেলেন সৌমিত্র।এর আগে গত ৯ জুলাই সৌমিত্রকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। তখন তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারের নির্দেশও দেয় এমপি-এমএলএ আদালত। এরপরই সৌমিত্র সেই এফআইআর খারিজের আবেদন জানান কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন বড়সড় আইনী স্বস্তি পেলেন গেরুয়া এই সাংসদ।