সন্দেশখালি কাণ্ডে কলকাতায় বিজেপি-কে ২দিন ধর্নায় বসার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি: মমতার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে মানুষের ডাইরেক্ট বেনিফিটে ব্যাকফুটে বিরোধী শিবির। অথচ শিয়রে কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। তারই মধ্যে পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনার মতো সন্দেশখালি ইস্যু। আর সেটাকেই অস্ত্র করে লোকসভা ভোটে লড়তে চাই রাজ্য বিজেপি। সেজন্য সন্দেশখালি ইস্যুকে সম্বল করে খোদ কলকাতায় ধর্ণা কর্মসূচি সুকান্ত, শুভেন্দুদের। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে টানা তিনদিন সেই অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি চাইলেও রাজ্য পুলিশ তাতে সাড়া দেয়নি। অগত্যা আদালতে গিয়ে সেই অনুমতি হাসিল করল রাজ্যের গেরুয়া শিবির।

তবে তিন দিন নয়, দুই দিন এই ধর্ণা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। আদালত জানিয়েছে, ‘কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ১৫০ জন লোক নিয়ে ধর্না দিতে পারবে বিজেপি। তবে দুই দিনের জন্য এই কর্মসূচি করা যাবে। শান্তিপূর্ণভাবে সেই কর্মসূচি করতে হবে বিজেপি-কে। লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কর্মসূচি চালানো যাবে।’’

এব্যাপারে গত শুক্রবার বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব একটি দলীয় বৈঠক করে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে খাস কলকাতায় টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি পালন করবে দল। এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি-র দলীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন দিন কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সেই ধর্না চলবে।


কিন্তু এই কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি পুলিশ। গতকাল সোমবারই সেই ধর্নার অনুমতির চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করে নাছোড় রাজ্য বিজেপি। আজ, মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে সুকান্তের মামলার শুনানি হয়। সেখানেই সব পক্ষের সওয়াল জবাবের শেষে বিজেপিকে শর্তসাপেক্ষে ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দেন বিচারপতি। সেই অনুমতিতে বিজেপি টানা তিন দিন ধর্নার পরিবর্তে বিজেপিকে দুই দিনের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।