• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ২ ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী

জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, 'এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তাই না জেনে আমি কোন মন্তব্য করব না।' তবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। অজিতবাবু বলেন, 'এভাবে মানুষের কণ্ঠরোধ করতে পারবে না তৃণমূল।'

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় দুই ছাত্রীকে অপমান করে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কলেজের বিভাগীয় প্রধান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলা সারদামনি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভূগোল বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ওই দুই ছাত্রী আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের বাইরে একটি স্ট্রিট পেন্টিং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এরপরেই তারা বিভাগীয় প্রধানের রোষের মুখে পড়েন। তাঁদের ওপর নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া।

যদিও এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বিভাগীয় প্রধান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। তিনি দাবি করেছেন, ওই দুজন ছাত্রী আন্দোলনের নামে অন্য ছাত্রীদের থেকে টাকা তুলছে। সেই কারণেই তাঁদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুই ছাত্রী কয়েকদিন আগে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন।

তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়ায় গেটের বাইরে রাস্তায় তারা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন। সেই কারণেই তাঁদের শাস্তি হিসেবে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও ওই দুই ছাত্রী ভূগোল বিভাগে ক্লাস করতে গেলে প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা তাঁদেরকে অপমান করেন এবং ক্লাস থেকে বের করে দেন। এই ঘটনার পরে ওই দুই ছাত্রী কলেজের প্রিন্সিপ্যালের কাছে অভিযোগ জানাতে দ্বারস্থ হন। তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় পরে দুই ছাত্রী সোশ্যাল মাধ্যমে সেই বিষয়টি তুলে ধরেন এবং প্রতিবাদ জানান।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তাই না জেনে আমি কোন মন্তব্য করব না।’ তবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। অজিতবাবু বলেন, ‘এভাবে মানুষের কণ্ঠরোধ করতে পারবে না তৃণমূল।’