মমতার পরামর্শ মতো হাতির করিডর লাগোয়া গ্রামগুলিকে খাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করল বনদপ্তর। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা হাতির উপদ্রব থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন বলে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি খালের জল চাষের কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন বাসিন্দারা।
বন দপ্তরের এক কর্তার কথায়, ‘এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে হাতি সহজে আর গ্রামে ঢুকতে পারবে না। কীভাবে এই পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, বাঘিনি জিনাতের আতঙ্কে এতদিন তটস্থ ছিল জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা। সেই আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই হাতির আতঙ্কে জেরবার তাঁরা। গত কয়েকদিন ধরেই জঙ্গলমহলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল। পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা। এই নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার নবান্নে আয়োজিত প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্মের বিষয়ে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ একাধিক দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে বিশদে আলোচনা করেন তিনি। কাজে সন্তুষ্ট না হলে ধমকও দেন। একাধিক ইস্যুতে পুলিশকেও ভর্ৎসনা করতেও দেখা যায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। এই বৈঠক থেকেই হাতির হামলা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘হাতির পাল বাড়ছে, জঙ্গল ছেড়ে ওরা গ্রামে ঢুকে যাচ্ছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে।’
অপরদিকে হাতির হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিরম্বনায় পড়েছেন বন দপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁদের কাজকর্মে একেবারেই সন্তুষ্ট নন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। এই ক্ষোভের কথা জানতে পেরেই সমাধান বাতলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতিকে আটকাতে খাল কাটার পরামর্শ দেন তিনি। এই পরামর্শ মতোই পরিকল্পনা শুরু করে দিল বনদপ্তর।