একাধিক দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন কৃষকরা

প্রতিকি ছবি (File Photo: SNS)

কৃষকরা জানিয়ে দিলেন এখনই আন্দোলনের পথ থেকে সরবেন না তাঁরা যতদিন না কৃষি আইন আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে তাঁদের অন্যান্য দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। সিঙঘু সীমান্তে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল।

এদিন তিনি আন্দোলনের রূপরেখা সম্পর্কেও জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, আমরা কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা করেছি। আর তারপর কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত কিষান মোর্চা আগামী ২২ নভেম্বর কিষান পঞ্চায়েত রয়েছে লখনউয়ে। ২৬ তারিখ সমস্ত সীমান্তে জমায়েত করব আমরা।

এরপর ২৯ তারিখ আমরা সংসদের উদ্দেশে মিছিল করব। কৃষি আইনের আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রত্যাহারের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়াও কৃষকদের আরও দাবি রয়েছে। এমএসপি তথা মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের উপরে আইনের দাবি জানাচ্ছেন কৃষকরা।


পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, গত এক বছরে বহু কৃষকের বিরুদ্ধে যে সব মামলা রুজু করা হয়েছে তাও প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এই সব দাবি না মেটা পর্যন্ত আপাতত আন্দোলন থেকে তাঁরা যে সরছেন না তা রবিবার পরিষ্কার করে দিলেন কৃষক নেতা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবারই দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, সরকার বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে। বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, সংসদের আগামী অধিবেশনেই সরকার এই তিন বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার করার আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবে।

কৃষকদের উদ্দেশে তাঁর অনুরোধ ছিল এবার আপনারা ঘরে ফিরুন। মাঠে নামুন। চলুন সবকিছু নতুন করে শুরু করা যাক। কিন্তু কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীর সেই ‘ঘরে ফেরার’ অনুরোধ রাখেননি। বরং তাঁরা পালটা চাপ দেওয়ার পন্থা নিয়েছেন। তাই বিল প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র।