রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা যাত্রিবাহী বাসের। চণ্ডীতলার কলাছড়ার কাছে ১৪ নম্বর গেট এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাস চালকের। আহত হন বাসের ৫ যাত্রী। আহতরা চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, যাত্রীবাহী বাসটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠ এলাকা থেকে আসার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসে দু’টি সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ছিলেন। বাসের খালাসির দাবি, হুগলির ডানকুনি হয়ে চাঁপাডাঙার দিকে যাওয়ার পথে কলাছড়ার কাছে বাসের চালক হঠাৎই ঘুমিয়ে পড়েন। যার জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চণ্ডীতলায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মারে বাসটি। দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। আহত যাত্রীদের উদ্ধারে এগিয়ে যান স্থানীয়রাই। তবে চালককে বাঁচানো যায়নি। চালক রাজু হালদারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সূত্রের খবর, একটি কোচিং সেন্টারের পড়ুয়াদের নিয়ে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের উদ্দেশে যাচ্ছিল বাসটি। ১০০ জন পড়ুয়া সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে দুটি বাস রওনা দিয়েছিল গন্তব্যে। একটি বাস এগিয়ে আরামবাগ পৌঁছেও গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় বাসটির দুর্ঘটনার কথা শুনে ফের প্রথম বাসটি চণ্ডীতলায় ফিরে যায়।
এ বিষয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের এসডিপিও তমাল সরকার বলেন, দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিতে একাধিক কাচের বোতল ছিল। বাসের ধাক্কায় ট্রাকে থাকা কাচের বোতল ছিটকে যাওয়ায় বেশ কয়েক জন আহত হন। তবে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে দুর্ঘটনা হয় বলে জানা গেলেও দুর্ঘটনার নেপথ্যে আরও কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।