বাংলাতে ভােট ঘােষণা হতে আর বেশি দেরি নেই। এই মত অবস্থাতে নির্বাচন প্রস্তুতি দেখতে রাজ্যে এলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার তারা বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিব ও ১৫ জেলার পুলিশ সুপার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সুদীপ জৈন সহ ওই প্রতিনিধি দল দিল্লি ফেরার পর নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের কলকাতাতে আসার কথা। এদিন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার কলকাতায় দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে মুখােমুখি বৈঠক করেন।
এইবার প্রথম নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে ডাকা হয়েছিল। আসলে ভােট কোভিড বিধির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য পরিকাঠামাে বিষয়ে বুঝে নিতে চান নির্বাচন কমিশনের এই কর্তা। সুদীপ এদিন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বিবের সঙ্গে কথা বলেন।
এমনকি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও তিনি আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলেন। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা কমিশনকে জানিয়েছি, অনেকেই নির্বাচন কমিশনের মতো আচরণ করছেন। যদিও বিরােধীরা রাজ্যের বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেন সুদীপ জৈনের কাছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনও এলাকাতে অশান্তি হলেই এ কমিশনকে জানাতে। বৈঠকে রাষ্ট্রের আইন শলার মতাে বিষয় আড়াও সীমান্ত এলাকার ভোটকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিনের বৈঠকের পর শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল হেলিকাপ্টার প্রথম মালদা এবং পরে শিলিগুড়িতে গিয়ে উত্তরবরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিজেপির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে খসড়া ভােটার তালিকা থেকে মৃত এবং অন্যত্র চলে যাওয়া ব্যক্তিদের নাম বাদ না পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের দাবি ভােটার তালিকা সংশােধনের কাজে বিএল ওদের পাওয়া যাচ্ছে না এমনকি বিজেপির তরফ থেকে রাজ্যে ভােটের অশান্তি মােকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনি মােতায়েনের দাবি জানানাে হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রের খবর, এ বারের ভােটের রাজ্যের পক্ষে লিঁয়াজো অফিসার হিসাবে থাকছেন এডিজি ( আইনশৃঙ্খলা ) জ্ঞানবন্ত সিং। তাকেই ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের সামনে আইনশৃঙ্খলার রাজ্যের জেলাগুলির সার্বিক অবস্থা তুলে ধরতে বলা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, কলকাতার পাশাপাশি নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। এমনকি কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির নামও রয়েছে সেই তালিকাতে। আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাডডার কনভয়ে হামলার মাটনাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল।