অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করার ঘটনায় এবার পালটা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পালটা ক্ষোভ উগরে এবার অপরূপা পোদ্দার বলেন, ‘ঘর শত্রু বিভীষণ নয় তো? কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।’ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, ‘এই করোনা পরিস্থিতিতে মেলা, ভোট বন্ধ রাখা উচিত। আগামী দু’মাস সব বন্ধ রাখা উচিত।’ তাঁর এই পদক্ষেপ বিভিন্ন মহলে সাধুবাদ কুড়িয়েছিল। কিন্তু, এরই মধ্যে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছিল দলেরই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।
তিনি বলেছিলেন, ‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদটি সর্বক্ষণের। এই পদে থেকে কারও ব্যক্তিগত মতামত থাকতে পারে না। বিভিন্ন বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত রয়েছে। কিন্তু, দলীয় শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই তা প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয়। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধাচারণ।
এই মন্তব্যে রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয় ডায়মন্ড হারবারে ফুটবল প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কল্যাণ বলেন, ‘ফুটবল প্রতিযোগিতায় বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিল। মুম্বই থেকে গায়ক নিয়ে এসে জলসাও হয়। সেখান থেকে কি সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা ছিল না?’
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পালটা সরব হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, ‘যখন এই ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়েছিল সেই সময় সংক্রমণ এত ছিল না। যাতে কোনওভাবেই ভিড় না হয় সেই জন্য অভিষেকও যাননি।’
অপরূপা বলেন, ‘সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও মন্তব্য থাকলে তা দলের অন্দরে বলা উচিত ছিল। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। যদি ঘরশত্রু বিভীষণ নিয়ে বাস করতে হয় তাহলে আদতে তা দলের সমস্যা।
অর্থাৎ কল্যাণের পদত্যাগের দাবির পাশাপাশি তাঁকে ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’ বলেও কটাক্ষ করেছেন অপরূপা। উল্লেখ্য, গতকালই কল্যাণের মন্তব্যের পালটা তাঁকে তোগ দেগেছিলেন কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা মানুষের জন্য বলেছেন। এই নিয়ে বিতর্ক দল ভালো চোখে দেখছে না।’ মোটের উপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ নিয়ে কল্যাণের খোঁচা নিয়ে ক্ষুব্ধ দলেই একাংশ।